মাসুদ আলম: [৩] স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খুলে দেওয়ার দাবিতে বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় ঢাকা রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ব্যানারে দোকানিরা ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
[৪] এরপর তারা বিআরটিসি কাউন্টারের সামনের প্রায় ২০ মিনিট সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ে ব্যবসায়ী ও কর্মচারিরা। এসময় পুলিশ ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। [৫] এছাড়া বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা। এছাড়া ইস্টার্ন প্লাজার সামনে ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেন। নিউমার্কেট, গাউছিয়া, এলিফেন্ট রোড, সাইন স্টোরিসহ বিভিন্ন মার্কেটের সামনে অসংখ্য দোকান মালিক ও কর্মচারীদে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
[৬] মিরপুর-১০ নম্বর শাহ আলি প্লাজারের সামনের রাস্তায় ব্যবসায়িরা মানববন্ধন করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে তা পণ্ড হয়ে যায়। সেখানে দুই শতাধিক ব্যবসায়ী একত্রিত হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
[৭] ব্যবসায়ীরা বলছেন, গতবছর লকডাউনে ব্যবসায়িরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। এখনো তারা সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। লকডাউনে সকাল থেকে গাড়ি চলছে, বই মেলা হচ্ছে তাহলে মার্কেট কেন বন্ধ থাকবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মার্কেট খুলতে দেওয়া হোক। রমজানের আগে মার্কেট খুলতে না পারি তাহলে বউ-বাচ্চা নিয়ে আমাদের রাস্তায় নামা অথবা না খেয়ে মরা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। সম্পাদনা : ইসমাঈল ইমু