মাসুদ আলম: টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে লাখো মুসল্লির ঢল। এবারের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের  উপস্থিতি পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুই দিন আগে এসেও ময়দানে স্থান পাননি অনেকেই। আশ্রয় নিয়েছেন ফুটপাতে। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আজ রোববার  শেষ হবে প্রথম পর্ব, দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে আগামী শুক্রবার। 

রাজশাহী থেকে আসা রনি বলেন, ইজতেমায় শরিক হতে পারায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। ময়দানে জায়গা না পেয়ে  রাস্তায় অবস্থান নিয়েছি।  রাস্তায় স্থান পাওয়াতে কোনো দুঃখ-কষ্ট নেই। এখানে এসেছিই তো কষ্ট করার জন্য, ত্যাগ স্বীকার করার জন্য।  

জামালপুর থেকে আসা মুহাম্মাদ সুলতান বলেন,  আমার মতো হাজার মুসল্লি রাস্তায় অবস্থান নেন। ওপরে পলিথিন দিয়ে রাতে ঘুমান। কোনো সামিয়ানা নেই। এখানে কেউ আরামের জন্য নিয়ত করে আসিনি।  প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত ১০টা থেকে গাজীপুরের তিন সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসব সড়কে ইজতেমার মুসল্লি বহনকারী যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি চলতে দেওয়া হয়নি।  সড়ক তিনটি হলো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস থেকে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত, টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের মিরের বাজার থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত এবং রাজধানী ঢাকার কামারপাড়া থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত। বিধিনিষেধ চলবে রোববার আখেরি মোনাজাতের পর পর্যন্ত। বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আব্দুন নূর বলেন, দেশ-বিদেশের লাখো লাখো মুসলিমের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে টঙ্গীর তুরাগ তীর। দিনরাত ইবাদত ও জিকির আশকারে সময় পার করছেন মুসল্লিরা। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব