সালেহ্ বিপ্লব: গত কয়েক বছরে মহাসড়ক এবং শহরের রাস্তায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে। প্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনার এক তৃতীয়াংশ ঘটছে মোটরসাইকেলে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করছে, যাতে মহাসড়কে চলাচল নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। বাসস

চলতি মাসে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ২০২২ সালে ৬ হাজার ৮২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৭১৩ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ১২ হাজার ৬১৫ জন। ২ হাজার ৯৭৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৯১ জন মারা গেছে, যা মোট মৃত্যুর ৪০ দশমিক ০৭ শতাংশ।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক (নিরাপত্তা) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, বেপরোয়া মোটরসাইকেল চলাচলের কারণে গত কয়েক বছরে দুর্ঘটনা  বেড়েছে। ২০১০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ৩ হাজারের নিচে। কিন্তু জাতীয় মহাসড়ক এবং শহরের রাস্তায় মোটরবাইক চলাচল বৃদ্ধির কারণে ২০১৯ সালে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৪ হাজারের ঘর অতিক্রম করেছে। আমাদের কাছে মোটরবাইক দুর্ঘটনার আলাদা কোনো পরিসংখ্যান নেই। কিন্তু আমাদের তদন্ত অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ মৃত্যুর কারণ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।

তিনি বলেন, বিআরটিএ মহাসড়কে মোটরবাইক চলাচল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই নীতিমালার খসড়া তৈরি করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। মন্ত্রণালয় খসড়া নীতির বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করবে এবং তারাই এটি চূড়ান্ত করবে। নীতিমালায় মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

মাহবুব-ই-রব্বানী উল্লেখ করেন, মটর সাইকেল দুর্ঘটনা এবং হতাহতের ঘটনা বৃদ্ধির বহুবিধ কারণ রয়েছে। অধিকাংশ মটর সাইকেল চালক বয়সে কিশোর কিংবা তরুণ কেবল এটাই নয়, তাদের মধ্যে  জ্ঞানের অভাব এবং ট্রাাফিক আইন না মানার প্রবণতাও রয়েছে। তরুণরা বেপরোয়া গতিতে মটর সাইকেল চালায় ফলে নিজেরা যেমন দুর্ঘটনায় পতিত হয় তেমনি অন্যরাও দুর্ঘটনার শিকার হয়।

তিনি জানান, নীতিমালা প্রণয়ন করে সরকার মোটরবাইক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা সরঞ্জামের ব্যবহারও নিশ্চিত করবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবে। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ