
প্রকাশিত: Fri, Jan 20, 2023 2:34 PM আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 4:19 PM
জাতিসংঘ ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ৯০ জাহাজ
রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরঞ্জাম কবে আসবে অনিশ্চিত
তরিকুল ইসলাম: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আছড়ে পড়া ঢেউয়ে উত্তাল সমুদ্র। নিজ সমুদ্র সীমায় মর্কিন নিষেজ্ঞাপ্রাপ্ত কোন জাহাজই প্রবেশ করতে দেবে না বাংলাদেশ। সেটা হোক বাংলাদেশের অথবা প্রতিবেশী কোন দেশের প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনের জাহাজ। বিশেষ করে বাংলাদেশ র্যাবের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ব্যস্ত। এই মুহূর্তে মার্কিন ও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কোন জাহাজ নিজ জলসীমায় প্রবেশ করতে দিয়ে নতুন করে ঝামেলায় জড়াবে না ঢাকা। তাই পরিস্থিতি উত্তরণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন এবং গ্রহণযোগ্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র বলেছে, বাংলাদেশের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এমন জাহাজ প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হলে অথবা যে দেশই তাদের জলসীমায় প্রবেশের অনুমতি দেবে, সেই দেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। বিষয়টি যেমন আইনগত, তেমনি যুক্তিযুক্ত। এছাড়া সমুদ্র সম্পদ রক্ষায়ও বেশ নড়েচড়ে বসেছে সরকার। সমুদ্রকেন্দ্রিক যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশেষ নজরদারির পাশাপাশি নিরাপদ সমুদ্র নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক জোট এবং দেশগুলোর সঙ্গেও নিয়মিত বোঝাপাড়ায় রয়েছে বাংলাদেশ।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, চলমান ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দুনিয়াজুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার নিজ বলয়ের শক্তি প্রদর্শন এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হচ্ছে অন্যান্য দেশগুলোর; বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। ঝুঁকি এড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ৯০টি জাহাজের তালিকা এরই মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখন থেকে বিদেশি কোন জাহাজ বাংলাদেশে আসার আগে অনুমতি চাইলে এবং জলসীমা ব্যবহার করতে চাইলে আগেই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় যেন ওই তালিকা ধরে খুব সহজেই নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত জাহাজ শনাক্ত করতে পারে। জাহাজটি যদি বাংলাদেশের পণ্য পরিবহন করেও থাকে তবুও যেনো জলসীমায় প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়। এক কথায় বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ব্যবহার করতে পারবে না নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কোন জাহাজ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা রাশিয়ার একটি জাহাজ ‘স্পার্টা থ্রি’ সম্প্রতি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়তে যাচ্ছিল। তখন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশের নজরে না থাকায় এবং জাহাজের নাম পরিবর্তন করে ‘উরসা মেজর’ রাখায় বিষয়টি প্রথমে বাংলাদেশের নজরে আসেনি। রূপপুরের মালামাল বহন করলেও সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল আপত্তির মুখে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজের প্রবেশ আটকে দেয় বাংলাদেশ। রুশ কৌশল এবং জাহাজের নাম পরিবর্তন ও নিবন্ধন নম্বর একই থাকার বিষয়টি মিলিয়ে হতবাক হয়েছিলেন স্বয়ং সরকারেরও দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত জাহাজটিকে ভিড়তে দিতে বাংলাদেশের ওপর চাপও সৃষ্টি করেছিল রাশিয়া। এ নিয়ে সৃষ্ট ব্রিবতকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাস কড়া ভাষায় কূটনৈতিক বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি সর্বরকমের প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি। এরপর পণ্য খালাসের জন্য ভারতে অপেক্ষা করছিল জাহাজটি। পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে পণ্য খালাসের কথা ছিল জাহাজটির।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এ নিয়ে বিবিসিকে বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান আগেও যা ছিল, এখনো তাই। ভারতের সেই নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
অবশেষে সেখানেও পণ্য খালাসের অনুমতি না পাওয়ায় গত সোমবার রাশিয়ার পথ ধরতে হয়েছে উরসা মেজরকে। একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ভারত হয়ে বাংলাদেশ সফর করেছেন। তার এ সফরকে ঘিরে ঢাকায় বেশ জোরালো গুঞ্জন রয়েছে যে, তিনি ভারতকে জাহাজটির পণ্য খালাসের অনুমতিতে বাধ সেধেছেন বলেই শেষ মুহুর্তে ভারত তাদের ভারসাম্যের কূটনীতি থেকে সরে গিয়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে অন্য জাহাজে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল পাঠানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে। কবে নাগাদ এই মালামাল নিয়ে রাশিয়া থেকে অন্য জাহাজ আবার যাত্রা শুরু করবে এবং ঢাকায় এসে পৌঁছাতে পারে সে বিষয়ে কোন ধারণা পাওয়া যায়নি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম এবং এই ঘটনায় বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্কে প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন কর্মকর্তারা। এ নিয়ে কথা বলতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাইঅফিসিয়ালরাও বিব্রত। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আরও সংবাদ
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
[১]রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: ইকবাল সোবহান চৌধুরী

[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত

[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত

[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র

[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
