
প্রকাশিত: Sun, Jan 22, 2023 5:53 PM আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 7:21 PM
মাদকব্যবসাকেন্দ্রিক অস্ত্রবাজি ও খুনোখুনিতে অস্থির রোহিঙ্গা ক্যাম্প
খালিদ আহমেদ, ফরহাদ আমিন: আধিপত্য বিস্তার করতে শক্তি প্রদর্শন শুরু করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। ব্যবহার করছে অত্যাধুনিক এম-১৬ ও একে-৪৭ রাইফেলের মতো ভারী অস্ত্র। আরসা ও আরএসও, দুই প্রতিপক্ষের ক্রমাগত অস্ত্রবাজিতে সরকারও বিরক্ত। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গারা আমাদের জন্যে বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এখন এমন, রোহিঙ্গাদের সব ক্যাম্পজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকতে হচ্ছে প্রশাসনকে।
বর্তমানে ক্যাম্পজুড়ে রাজত্ব করছে আরসা ও নবী হোসেন গ্রুপ। আর ক্যাম্পে রয়েছে তাদের উপগ্রুপ। মূলত ইয়াবা ব্যবসাকে ঘিরেই খুনের মহড়া চলে তাদের মাঝে। তাদের উগ্রতা ক্যাম্প ছাড়িয়ে প্রভাব পড়ছে স্থানীয়দের মাঝে।
নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে গত চার মাসে গোলাগুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩ জন। সর্বশেষ গত ১৮ জানুয়ারি বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়া জিরো পয়েন্টে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মারা গেছেন দুজন। এরপরই অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি সামনে আসে। এর আগে তমব্রু সীমান্তে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে গিয়ে নিহত হন গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা।
স্থানীয় সূত্র বলছে, রোহিঙ্গাদের স্বাধীকার আদায়ে নয়, বরং আধিপত্য বিস্তারে সশস্ত্র মহড়া চালাচ্ছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। একই সঙ্গে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ব্যবহার করছে অত্যাধুনিক অস্ত্র। জিরো পয়েন্ট ও ক্যাম্পে মজুত করছে গ্রেনেড, রকেট লঞ্চারসহ ভারী অস্ত্র। ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকা ও সীমান্তের জিরো পয়েন্টে রয়েছে অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানা ও গুদাম।
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গতিবিধির ওপর নজর রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে ওয়াকিটকি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটস অ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, ইম্যুসহ বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করছে তারা। অনেকে আবার মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজে লাগাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের নিরাপত্তার ঝুঁকিও বাড়ছে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তবে জেলা পুলিশ বলছে, বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবির পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করেছে এপিবিএন। ক্যাম্পের বাইরে স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
রোহিঙ্গা সূত্রের দাবি, আরসা এবং মাদক ব্যবসায়ী নবী হোসেন গ্রুপ সরাসরি মিয়ানমার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। মিয়ানমার সরকারই তাদেকে বিনা টাকায় ভারী অস্ত্র, গ্রেনেড এবং ইয়াবা সরবরাহ করে থাকে।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির সদ্যবদলি হওয়া অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবির বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা শুধু রোহিঙ্গাদের জন্য নয়, আমাদের জন্যও হুমকি। দেশে ৫০ ভাগের বেশি মাদক তাদের হাত ধরে ঢুকছে। আমরা তাদের ধরতে কাজ করছি।
ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি ফারুক আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের এসব গ্রুপগুলো আধিপত্য বিস্তারে একে অপরের ওপর হামলা, ক্যাম্পে খুন, অপহরণসহ নানা অপরাধে জড়াচ্ছে। আমরা সব সময় কঠোরভাবে এসব সন্ত্রাসীকে দমন করতে কাজ করছি। অনেককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিদিন ক্যাম্পে ইনটেনসিভ প্যাট্রোলিং ও ব্লক রেইড পরিচালনা করা হচ্ছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে না। সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আরও সংবাদ
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
[১]রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: ইকবাল সোবহান চৌধুরী

[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত

[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত

[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র

[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
