প্রকাশিত: Fri, Feb 10, 2023 4:37 PM
আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 2:35 PM

ছুটির দিনে বইমেলায় শিশুদের ভিড় এখনো স্টল পায়নি আদর্শ প্রকাশনী

মৌসুমী মিতু: মানুষের ঢল নেমেছে অমর একুশে বইমেলায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পুরো মেলা প্রাঙ্গণেই ছিল দর্শনার্থীদের আনাগোনা। বিশেষভাবে শিশুদের কলকাকলিতে মুখরিত ছিল  শিশুচত্বর।

 মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায়। মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে দর্শনার্থী ও পাঠকের সংখ্যা কিছুটা কম দেখা গেছে। তবে দুপুরের পর থেকে বাড়তে থাকে মানুষের উপস্থিতি। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই জনারণ্যে পরিণত হয় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। বইমেলার প্রবেশ মুখেও দেখা গেছে লম্বা লাইন।

বইপ্রেমীদের আনাগোনা আর ঘোরাফেরায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। কেউ বই কিনছেন, কেউ হাতে নিয়ে দেখছেন আবার কেউবা প্রিয় লেখকের বই কবে আসবে খোঁজ নিচ্ছেন। বরাবরের মতো অনন্যা, কাকলী, তাম্রলিপি, প্রথমা, পাঞ্জেরি প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নগুলো ছিল ক্রেতাদের প্রধান আকর্ষণ।

বিভিন্ন প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মীরা জানান, ছুটির দিন বিবেচনায় দর্শনার্থী ও পাঠকের চাহিদা মেটাতে প্যাভিলিয়ন ও স্টলে যথেষ্ট বই মজুদ রাখাসহ সব প্রস্তুতি রয়েছে। 

বাংলা একাডেমির আপত্তি জানানো তিনটি বই স্টলে না রাখার শর্তে অমর একুশে বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে, বাংলা একাডেমি এখনও পযন্ত স্টল বরাদ্দ দেয়নি বলে জানিয়েছে আদর্শ প্রকাশনী কর্তৃপক্ষ।

তিনটি বই হচ্ছে, ফাহাম আব্দুস সালামের লেখা ‘মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে। জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ এবং ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এর ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’।

ব্যারিস্টার অনিক আর হক বলেন, একটি বইকে কেন্দ্র করে বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীর অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অথচ বইটি কালো তালিকাভুক্ত বা নিষিদ্ধ নয়। আর এই প্রকাশনীর আরও ৬শ বই রয়েছে। স্টল বরাদ্দ না দিলে এসব বইয়ের লেখকরা বঞ্চিত হবেন। সম্পাদনা: এল আর বাদল