প্রকাশিত: Tue, Feb 21, 2023 4:19 PM
আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 3:36 AM

২০৪১ সালে হবে আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

খালিদ আহমেদ: শেখ হাসিনা আরো বলেছেন, বাঙালির ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি সব মিলিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। মাতৃভাষার পাশাপাশি বিদেশি ভাষা শেখার গুরুত্বের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে তরুণ প্রজন্ম নানা ভাষা শিখে স্বাবলম্বী হতে পেরেছে। একই সঙ্গে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল ভাষাভাষী মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমাদের মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাঙালি জাতি রক্ত দিয়ে মা ডাকার অধিকার পেয়েছিল আজকের এই দিনে। জাতিকে ধ্বংস করার জন্য সংস্কৃতির ওপর অনেক আঘাত আনা হয়েছিল। আমাদের ভাষা পাল্টে দিয়ে অন্য ভাষা তুলে ধরা হয়েছিল।

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করাচিতে ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি শিক্ষা সম্মেলন করা হয়েছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করা হবে। এ খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে। তখন এভাবে প্রতিবাদ শুরু হয়। ভাষার জন্য আমাদের আন্দোলন, সংগ্রাম অব্যাহত ছিল।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,  দেশের মানুষের কাজের সুবিধার জন্য আমরা ৯টি ভাষার একটি অ্যাপ করে দিয়েছি। ডিজিটাল সিস্টেমে যে কেউ যেন ভাষা শিখতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, শিশুরা তাড়াতাড়ি ভাষা শিখতে পারে। তারা একসঙ্গে দুই-তিনটা ভাষা দ্রুত শিখে নেয়। তবে কোন্টা ধারণ করবে সেটা আসে পরে। মাতৃভাষায় শিক্ষাটা হলে সবকিছু জানা, বোঝা ও উপলব্ধি প্রকাশ করার উপকার অনেক বেশি।

এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের যুগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন করতে পারছে। আমরা তাদের লার্নিং এবং আর্নিংয়ের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তারা এখন একেবারে ইউনিয়নে বসে বিদেশে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের যত বিপন্ন ভাষা আছে তা মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে সংরক্ষণ করা হবে। এখানে ভাষা নিয়ে গবেষণা হবে, সবাই শিখতে পারবে। ভাষা গবেষকদের ফেলোশিপ ও বৃত্তি দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য ফান্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। পরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে ভাষা জাদুঘর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সম্পাদনা: এল আর বাদল