প্রকাশিত: Thu, Feb 23, 2023 5:32 PM
আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 2:20 PM

আইসিডিডিআরবি’র নতুন গবেষণা

স্বাভাবিক প্রসবের সময় অ্যাজিথ্রোমাইসিনের ওরাল ডোজ মৃত্যুঝুঁকি ৩৩ শতাংশ কমায়

শাহীন খন্দকার: আইসিডিডিআরবি’র গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ফর উইমেনস অ্যান্ড চিলড্রেনস হেলথ রিসার্চের আওতায় প্রসবের সময় অ্যাজিথ্রোমাইসিন প্রফিল্যাক্সিস ব্যবহার (এ-প্লাস) শীর্ষক একটি বহুদেশীয় গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণার ফলাফল নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাভাবিক প্রসবের সময় অ্যাজিথ্রোমাইসিন অ্যান্টিবায়োটিকের দুই-গ্রাম ওরাল ডোজ গ্রহণ করলে মায়েদের সেপসিস বা মৃত্যুর ঝুঁকি ৩৩ শতাংশ কমে যায়। সেপসিস তখনই হয় যখন শরীর কোন একটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে উঠে। এর ফলে মানবদেহের এক বা একাধিক অঙ্গ অকেজো হয় যেতে পারে এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। 

এ-প্লাস গবেষণাটি সাতটি দেশের ২৯ হাজার ২৭৮ জন গর্ভবতী নারীর উপর করা হয়। দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, কঙ্গো, গুয়াতেমালা, ভারত, কেনিয়া, পাকিস্তান এবং জাম্বিয়া। সেপ্টেম্বর ২০২০ থেকে আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত এসকল গর্ভবতী নারীদের দুটি ভাগে বিভক্ত করে একটি গ্রুপকে অ্যাজিথ্রোমাইসিন ও অন্য গ্রুপটিকে প্লাসিবো দেওয়া হয়। প্লাসিবো গ্রুপের তুলনায় অ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্রুপে মাতৃকালীন মৃত্যুর ঝুঁকি কম দেখা যায়। এছাড়াও অ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্রহণকারী নারীদের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে যায়। প্রসব পরবর্তী জটিলতাও তুলনামূলক কম হয়। 

গবেষণায় বাংলাদেশ সাইটের সহ-নেতৃত্বে ছিলেন ইমেরিটাস সায়েন্টিস্ট ড. রাশিদুল হক, আইসিডিডিআরবি’র অ্যাসোসিয়েট সায়েন্টিস্ট এসকে মাসুম বিল্লাহ এবং আমেরিকার ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. উইলিয়াম পেট্রি। 

ড. রাশিদুল হক বলেন, বাংলাদেশে প্রতি তিনটি প্রসবের মধ্যে দুটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়। স্বাস্থ্যসেবা দানকারী এবং নীতিনির্ধারকরা স্বাভাবিক প্রসবের সময় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে অ্যাজিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করবেন বলে আশা করি।

 গর্ভাবস্থায় সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের জরুরীভাবে কার্যকর কৌশল নির্ণয় করা প্রয়োজন, কেননা এটি বিশ্বব্যাপী মাতৃমৃত্যুর প্রায় ১০ শতাংশের জন্য দায়ী। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব