প্রকাশিত: Sun, Feb 26, 2023 5:57 PM
আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 2:33 PM

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা প্রস্তাব যথেষ্ট পজিটিভ: ড. ইমতিয়াজ

ভূঁইয়া আশিক রহমান: আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার ওপর মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম গঠনের প্রস্তাব যথেষ্ট পজিটিভ ও বেশ ভালো উদ্যোগ। দক্ষিণ দক্ষিণের মধ্যে ওই ধরনের ইন্টারেকশন হয় না। মূলত উত্তর আর দক্ষিণের মধ্যেই বেশি আদান-প্রদান হয়। ফলে দক্ষিণ দক্ষিণের মধ্যে কাঠামোগত উন্নয়ন করা গেলে দক্ষিণ দক্ষিণের পশ্চাৎপদ অবস্থান থেকে ওঠে আসা সম্ভব।  

তিনি বলেন, দক্ষিণের মধ্যেও এখন বেশ কতোগুলো দেশ রয়েছে যারা ওঠে এসেছে। এর চীন আছে। দেশটিকে আর এখন দক্ষিণ বলা চলে না। ভারতও ওঠে এসেছে। এমনকি বেশ কয়েকটি দেশ, যারা দক্ষিণে ছিলো, অর্থনৈতিকভাবে তারা উন্নয়ন কাঠামোতে ওঠে এসেছে। তাদের হাতে যেহেতু এখন অর্থ আছে, সে কারণে দক্ষিণ দক্ষিণ কাঠামো যদি করা যায়, তাহলে দেশগুলোর মধ্যে যে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে, তাতে বড় ধরনের একটা পরিবর্তন এই অঞ্চলে আনা যাবেই। এমনকি বিশে^ এর একটা প্রভাব পড়বে। 

তার মতে, আমাদের শিক্ষা, চিন্তার জগৎ যা কিছু আছে, প্রায় সব তো উত্তর থেকে নিয়ে আসা। সেখানে তো দক্ষিণ দক্ষিণ সহযোগিতা একেবারে নেই। জ্ঞান আদান-প্রদান মূলত উত্তর থেকেই, যা বিগত ৩০০-৪০০ বছর ধরে চলে আসছে উত্তর থেকে দক্ষিণে আসছে। দক্ষিণ দক্ষিণের মধ্যে সে ধরনের সম্পর্ক গড়ে উঠেনি। আমাদের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ হচ্ছে উত্তরে যাওয়া। কিন্তু দক্ষিণ দক্ষিণের মধ্যে যদি কাঠামোগ গড়া যায়, যেহেতু দক্ষিণের অনেক দেশ অর্থ বা উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে নেই, সে জায়গায় এরকম একটা কাঠামো যদি করা যায়, তাহলে চিন্তা জগতেও একটা বড় পরিবর্তন আসবে। যাকে এখন আমরা দক্ষিণ বলছি, তাদের বড় আকারে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

ড. ইমতিয়াজ বলেন, বিশ^ এখন একটা বহুমাত্রিক কাঠামোর মধ্যে যাচ্ছে। মিনিপোলার দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। বায়োপোলা হওয়ারও কেউ সুযোগ দেখছে না। সেই জায়গায় মাল্টিপোলার বিশ^ কাঠামোতে দক্ষিণ দক্ষিণ সম্পর্ক করা গেলে তা যথেষ্ট পজিটিভ। কাঠামো কী ধরনের হবে তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হতে পারে। 

তিনি বলেন, দক্ষিণ দক্ষিণ প্রস্তাবে দেশগুলো সাড়া দেবে, যদি অর্থ তৈরি করা যায়। যারা মোটামুটিভাবে উন্নয়নের চাবিকাঠির মধ্যে আছে, উন্নয়নের ট্রানজিটের মধ্যে আছে, তারা যদি বিনিয়োগ করতে পারে, তাহলে দক্ষিণ দক্ষিণে দেশগুলোর সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ এখানে ইনভেস্টের একটা বিষয়। উত্তর এতোদিন জ্ঞানচর্চায় এগিয়ে ছিলো। কারণ এতোদিন তার অর্থ ছিলো। যে কারণে দক্ষিণের যারা মেধাবী তারা উত্তরে চলে যাচ্ছিলো। এতে দক্ষিণে জ্ঞানচর্চায় সাংঘাতিক পিছিয়ে ছিলো। দক্ষিণ দক্ষিণে যদি কাঠামো তৈরি করা যায়, সকলে মিলে যদি ইনভেস্ট করতে পারেন, তাহলে সম্ভাবনা আছে। বিশ^ যেহেতু বহুমাত্রিকের দিকে যাচ্ছে, এতে একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব