প্রকাশিত: Fri, Mar 3, 2023 4:22 PM আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 7:56 PM
পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে ১২ শিশুর মৃত্যু, সতর্ক থাকার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
চঞ্চল পাল, কলকাতা থেকে: রাজ্যে ফের অ্যাডিনোভাইরাসের দাপটে মৃত্যু হল ১১ মাসের শিশুর। উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের বাসিন্দা ওই শিশুকে গত রোববার জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটি মারা যায়। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে অ্যাডিনো সংক্রমণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।
গত কয়েকদিনে এ রাজ্যে অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনে লাগাতার শিশুমৃত্যুর খবর আসছে। যুক্ত হয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসের আতঙ্ক। সব মিলিয়ে দমবন্ধ করা পরিবেশ। এ অবস্থায় আতঙ্ক নয়, সতর্ক থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শিশুমৃত্যুর ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ হিসাবে দেখা যাচ্ছে কম ওজন বা প্রিম্যাচিওর বেবির জন্ম। রাজ্যে প্রচুর এসএনসিইউ, পিকু, নিকুর ব্যবস্থা রয়েছে। পরিকাঠামোর কোনও অভাব রাখা হয়নি।
তিনি বলেন, শীত বিদায়ে গরম পড়ছে। এই বদলের মরসুমে প্রতি বছরই শিশুদের শরীরে সমস্যা দেখা দেয়। জ্বর, সর্দি, কাশি হয়। ঘাবড়ে না গিয়ে আরও বেশি করে বাড়ির লোকজনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
নবান্নে বৃহস্পতিবারের ওই সাংবাদিক বৈঠকে মমতার সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মুখ্যসচিব জানান, ৫ হাজার ২১৩টি কেস এসেছিল। তার মধ্যে ১২ জন মারা গিয়েছে। মমতা আরো বলেন, আমি বারবার বলি, ভয় পাবেন না। ৫ হাজার বেড আমাদের তৈরি। ৬০০ শিশু চিকিৎসক তৈরি। করোনা যেহেতু প্যানিক হয়ে গিয়েছে। করোনার পর যে কোনও একটা ভাইরাস এলেই বাড়ির লোকজনকে যত্ন নিতে হবে। বাচ্চারা মাস্ক পরতে পারে না। ওদের উপর একটু বিশেষ নজর দিয়ে বাইরে যাতে না বের হয়। ঘরে রাখাটাই ভাল।
চিকিৎসক জয়দেব রায় জানাচ্ছেন, অন্যান্য ভাইরাসের মতো এটিও একটি ভাইরাস। তবে সমস্ত সর্দিকাশি জ্বরই যে অ্যাডেনো ভাইরাস, তা নয়। অ্যাডেনো ভাইরাসের প্রায় ১০০টি স্ট্রেইন রয়েছে। এর মধ্যে যে কোনও স্ট্রেনে মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। এক্ষেত্রে ৩ এবং ৭ নম্বর স্ট্রেইনটি বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যেও ৭ নম্বর স্ট্রেইনটি বেশি মারাত্মক বলে মনে করছেন তিনি।
ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের পেডিয়াট্রিক বিভাগের প্রধান, প্রফেসর ডা. জয়দেব রায় আরো বলেন, অ্যাডেনো ভাইরাসে শিশুদের আক্রান্তের গ্রাফ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। অন্যান্য ভাইরাসের মতো এক্ষেত্রেও জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি দেখা যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে জ্বর খুব বেশি থাকছে। তাছাড়া কারও কারও ক্ষেত্রে কনজাংটিভাইটিস ও ডায়রিয়াও দেখা যাচ্ছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আরও সংবাদ
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
[১]রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: ইকবাল সোবহান চৌধুরী

[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত

[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত

[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র

[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
