জমির উদ্দীন: কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায়  মামলার সংখ্যা বেড়েছে। ছয় মামলায় ৮ হাজার ২শ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত ৮১ জনকে  গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পঞ্চগড় সদর থানার চারজন উপ-পরিদর্শক, একজন র‌্যাব কর্মকর্তা ও ওসমান গনি নামের এক ব্যক্তি মামলাগুলো করেন। 

মামলায় সরকারি কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণ, অন্যায় ভাবে হামলা, ভাঙচুর, গুজব ছড়িয়ে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, জখমসহ আক্রমণের হুকুমদানের অভিযোগ আনা হয়েছে ।

রোববার রাত ১২টার  দিকে ইন্টারনেট সেবা  চালুর পর সকল  মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো পুনরায় ৪ জি সেবা চালু করেছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, গুজব ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে অপারেটররা নিজে নিজে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি ।

গত শুক্রবার জুমার নামাযের পরে কাদিয়ানীদের সালানা জলসা বন্ধ ঘোষণার দাবিতে পঞ্চগড়ের শের-ই বাংলা পার্ক সংলগ্ন মহাসড়কে বিক্ষুব্ধ মুসুল্লিরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ মুসল্লীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটে। বিক্ষুব্ধ মুসল্লীদের দিকে লক্ষ্য করে অসংখ্য রাবার বুলেট, টিয়ারশেল এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। অপরদিক থেকে মুসল্লীরাও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে একজন মুসল্লি ও একজন কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের যুবক নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব