মাসুদ আলম: নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের। দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। এতে করে ক্রেতাদের মধ্যে চরম অসন্তুষ্টি বিরাজ করছে। 

সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির  কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি আগের দামেই, ৩২০ টাকা। এরই মধ্যে ডিমের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। এক সপ্তাহ ধরে ডিম ১৩০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সব ধরনের সবজি কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, শীতের শেষের দিক থেকেই বাড়তি দামে সব ধরনের সবজি বিক্রি শুরু হয়েছে। দুই একটি সবজি ছাড়া কোন সবজিই ৪০/৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। পটল প্রতি কেজি ৮০ থেকে, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, করল্লা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, সজনে প্রতি কেজি ২০০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা ও  কাচাঁ মরিচ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, মাছের খাদ্যের দাম বাড়ায় সব ধরনের মাছ কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। রুই প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, কই ৩০০ টাকা, পাঙাস ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। 

ভাটারা পূর্ব নুরেরচালা মতিন  স্টোরের ম্যানেজার আল ইসলাম ওরফে আলী বলেন, ডিমের দাম বাড়েনি। তবে অন্য সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সামনে রোজার মাসে দাম আরও বাড়বে বলেই তো মনে হয়। 

ভাটারা সাঈদ নগরের বাসিন্দা  মো. আমিরুল ইসলাম আমির বলেন, বর্তমান বাজারে মাংস কেনা তো মুশকিল আবার মাছের বাজারও চড়া। পাশাপাশি সবজির দামও বাড়ছে।  দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে আয়-ব্যয়ের হিসেব এখন মেলানো যাচ্ছে না। আমরা সাধারণ ক্রেতারা কোথায় যাবো?। সরকারের উচিত নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব