অর্ক হিরন্ময়: ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ ঋণ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংগঠন থেকে নেয়া। বাংলাদেশ কখনো চীনা ঋণের ফাঁদে পড়বে না। শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বিজনেস সামিটের প্রথম দিনে বার্তাসংস্থা সিএনএনের বিজনেস এডিটর রিচার্ড কোয়েস্টের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন ড. মোমেন। 

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ চীনা ঋণের ফাঁদে পা দিয়েছে এটা ভুল কথা। দেশভিত্তিক বিবেচনায় বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়ে থাকে জাপান থেকে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে। কিন্তু বাংলাদেশ চীনা ঋণের ভারে ন্যুব্জ না।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় একটি দেশ। বাংলাদেশ চায় যুদ্ধ বন্ধ হোক, সার্বভৌমত্ব রক্ষা হোক, মানবতার জয় হোক। যখনই মানবতার প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশ নির্যাতিত দলের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। অন্যায্য কোনো জোট গঠনে বাংলাদেশ আগ্রহী না।

একই দল ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায়। জনগণ নতুন কিছু চায় কি-না? এই প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আমরা ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকলেও জনগণকে নতুন নতুন ভিশন দেখাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের পর এবার আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি নির্বাচনে নিরপেক্ষ লড়াই হবে। যারা চায় তারাই নির্বাচনে যোগ দিতে পারবেন। এমনকি বিরোধীদলগুলো আমাদের সঙ্গে সংলাপে বসতে চাইলেও আমরা প্রস্তুত আছি।

একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রিচার্ড কোয়েস্টের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা নেই। যুদ্ধের কারণে অস্থির বিশ্ববাজারের ফল ভোগ করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। সব দেশ যেখানে সংকটের মধ্যে আছে, সেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বাড়ছে। বাজারে পণ্যের দাম বেশি এ কথা সত্য। তবে সংকট সামাল দিতে বাংলাদেশ সক্ষম। সম্পাদনা: এল আর বাদল