প্রকাশিত: Thu, Mar 16, 2023 4:49 PM
আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 2:54 AM

ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া মধ্য দিয়ে শেষ হলো সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন


তাসলিমা মলি: থমথমে পরিস্থিতি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও কঠোর নিরাপত্তার  মধ্য দিয়ে শেষ হলো সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় আওয়ামী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি, হট্রগোলের ঘটনা ঘটে। এতে  কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পর দুই দলের সমর্থক আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা জোরে জোরে স্লোগান দিতে থাকেন। একদল ‘ভোট চোর, ভোট চোর’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। অন্য পক্ষ আবার এর উত্তর দিতে থাকে। 

এর আগে বুধবার ভোটগ্রহণের প্রথম দিন আওয়ামীপন্থী আইনজীবী ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে সংঘর্ষ, পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিকসহ ৩০ জন আহত হন। সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টার পর  ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শুধু আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে গেছে। নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা দফা দফায় বিক্ষোভ করে। এতে করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে আদালত প্রাঙ্গন। 

এদিকে বেলা ১১টায় প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন ও সম্পাদক প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুস। সমিতির এবারের নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে তারা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এ সময় আপিল বিভাগের অপর সাত বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

রুহুল কুদ্দুস বলেন, প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা আধা ঘণ্টা ধরে আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। 

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে যে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সে ব্যাপারে প্রধান বিচারপতি বলেছেন- এটা আমাদের বিষয় না। এটা বারের (আইনজীবী সমিতির) বিষয়। আপনারা বারের সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়ে বসে আলাপ করে সমস্যার সমাধান করেন। সবাই মিলে পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার চেষ্টা করেন। এটি প্রাইভেট সংগঠন। বার অ্যাসেসিয়েশনের বিষয়ে প্রধান বিচারপতির কিছু করার নেই। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব