প্রকাশিত: Tue, Mar 28, 2023 7:30 AM
আপডেট: Thu, Jul 10, 2025 4:01 PM

স্থপতি ইমতিয়াজ হত্যাকাণ্ডে জড়িত গ্রেপ্তার ৩

মাসুদ আলম: নিখোঁজের পর স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। রোববার সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-  মুন্না, মেঘ আনোয়ার ও অভি। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার একটি গ্যারেজ থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করা হয়। সোমবার ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিবির ডিসি গোলাম সবুর বলেন, হত্যায় জড়িত পাঁচজনের মধ্যে বাকি দুজন আরাফাত ও আলিফ নামের দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জানা গেছে, ইমতিয়াজ ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির নকশার কাজ করতেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ৮ মার্চ তার স্ত্রী ফাহামিদা আক্তার কলাবাগান থানায় একটি জিডি করেন। পরদিন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের একটি ঝোপের ভেতর থেকে ইমতিয়াজের লাশ উদ্ধার হয়। তার পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ আঞ্জুমান মুফিদুলে হস্তান্তর করে। তবে পরিবার তা জানতে পারেনি। 

একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ইমতিয়াজ নিখোঁজের বিষয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হলে ১০ দিন পর পরিবার জানতে পারে, ইমতিয়াজ মোহাম্মদ খুন হয়েছেন। সিরাজদিখানে যে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়েছে, তা ইমতিয়াজের। পরে আদালতের অনুমতিতে ওই লাশ উদ্ধার করে শনাক্ত করেছেন ইমতিয়াজের স্বজনেরা।

ডিবি জানায়, একটি অ্যাপের মাধ্যমে চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলে বাসায় ডেকে নিতেন। পরে আপত্তিকর অবস্থান ভিডিও, ছবি রেকর্ড করে ওই ব্যক্তির কাছে টাকা  আদায়ের চেষ্টা করতেন। ভুক্তভোগীরা সামাজিক অবস্থানের কারণে কখনোই  এ বিষয়ে মুখ খুলতেন না। চাঁদাবাজি ও  মুক্তিপণের টাকা জমা হতো চক্রের সদস্য আরাফাতের মায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। 

ওই অ্যাপের মাধ্যমে স্থপতি ইমতিয়াজের সঙ্গে চক্রের সদস্য আসিফের পরিচয় হয়। ৭ মার্চ ইমতিয়াজকে মুঠোফোনে কলাবাগানের একটি বাসায় ডেকে নেন আসিফ। এরপর আরাফাত, মুন্না, মেঘ মিলে তাকে ফাঁদে ফেলে টাকার জন্য মারধর করেন। একপর্যায়ে ইমতিয়াজ মারা যান। পরে একটি গাড়িতে করে মুন্সিগঞ্জ গিয়ে লাশ ফেলে দেয় খুনিরা। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব