মাজহার মিচেল: বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসডুপে সোমবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী তাকে এ কথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,  ফ্রান্স বরাবরই বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার। টেকসই উন্নয়নে আমাদের অভিন্ন লক্ষ্যে দুই দেশে বাস্তব ভিত্তিক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও প্রসারিত হয়েছে।

২০২৫ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে ফরাসি ব্যবসায়ীদের ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলোর কৌশলগত অবস্থানে থাকা বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে হবে। কারণ তারা বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কক্সবাজারে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর নির্মাণের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার এ বিমানবন্দরটিকে একটি আন্তর্জাতিক হাব হিসেবে রুপান্তর করছে যা এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে জ্বালানি সরবরাহ ও সংযোগ স্থাপন করছে।

প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের নভেম্বরে তার ফ্রান্স সফর এবং ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার ফলপ্রসূ আলোচনার কথা স্মরণ করেন।

তিনি আগামী ২২-২৩ জুন প্যারিসে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার সম্পর্ক গত পাঁচ দশকে বিভিন্ন খাতে বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকে ফরাসি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ করে বিমান ও মহাকাশ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

মেরি বলেন, সামুদ্রিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতেও তাদের আগ্রহ রয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে ফরাসি রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ এ বিষয়ে কাজ করছে এবং তারা তাদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।