আনিস তপন, ওবায়দুর রহমান: মঙ্গলবার ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে রেল চলাচলের শুরুতে এ কথা বলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। 

তিনি বলেন, দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে এটি নতুন মাইলফলক। বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আগেই হয়েছে। কিন্তু পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ চালু না হওয়ায় একটা অপূর্ণতা ছিল। রেল সংযোগ উদ্বোধনে সেটাও পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে। ফলে আমাদের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে।

তিনি বলেন, এতে মোংলা পোর্ট ও পায়রা বন্দরের দূরত্ব কমে যাবে। কলকাতা থেকে ঢাকার যেই দূরত্ব সেটা কমে আসবে। মালামাল পরিবহন থেকে শুরু করে যাত্রী পরিবহন সবকিছুতেই আমূল পরিবর্তন আসবে।

পুরোপুরি ট্রেন চলাচলের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি চালুর নির্ধারিত সময় আগামী বছরের জুনে। এ সময়ের মধ্যে যশোর পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। মাওয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত আগামী সেপ্টেম্বরে চালু হবে আশা করছি।

৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটারের পদ্মা সেতুতে রেলপথের কাজ শেষ হওয়ার পর ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪১ কিলোমিটার রেলপথে এদিন পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হয়। 

পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রায় যাত্রী হিসেবে ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুরে আলম চৌধুরী লিটন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, ইকবাল হোসেন অপু, নাহিম রাজ্জাক, স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, রেল সচিব ড. হুমায়ুন কবীর প্রমুখ। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব