জাফর খান: বৃহস্পতিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কর্মসূচি পালন করেছে স্বাধীনতা সচেতন নাগরিক সমাজ নামে একটি সংগঠন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা, ঢাবি অধ্যাপক এম অহিদুজ্জামান, সাবেক মূখ্যসচিব কবি কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলম, মনোরঞ্জন ঘোষাল, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী মশিউর মালেক প্রমুখ।  আজকের পত্রিকা, বাংলা নিউজ২৪

এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ অভাবনীয় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে নানা অপকৌশল যারা প্রয়োগ করছেন তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মৌলিক দায়িত্ব। যে সকল পত্রিকা এ সকল অপকর্মে যুক্ত আছে তাঁদের বিরুদ্ধে সকলের সম্মিলিত সোচ্চার হওয়াই সময়ের দাবি। এক-এগারোর কুশীলবরা স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র করতে সচেতনভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, প্রথম আলো এখন স্বাধীনতা বিরোধীদের মুখপত্র। তারা আমাদের নাম ছাপায় না। যেখানে অন্য পত্রিকায় আমাদের বিবৃতি ছাপায়। 

এছাড়াও নাট্যব্যক্তিত্ব পিযূষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময়ে বাসন্তীকে জাল পরিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছিল তৎকালীন একটি জাতীয় দৈনিক। ঠিক তেমনি স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে প্রথম আলোর অর্বাচীন সাংবাদিক ষড়যন্ত্রের জাল তৈরি করল। এটি সুপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। 

এসময় পত্রিকাটির বিরুদ্ধে রমনা থানায় করা মামলার বাদী আইনজীবী মশিউর মালেক প্রথম আলো পত্রিকাটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে এর ডিক্লারেশন বাতিলের দাবি জানান।

কর্মসূচিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, জোট ও সংগঠনের মধ্যে স্লোগান ৭১, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ, জাতীয় ওলামা সমাজ, জয় বাংলা সাংস্কৃতিক জোট, আন্তর্জাতিক শিল্পী সাহিত্যিক সম্মিলিত পরিষদ, বাংলার মুখ, বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগার, বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ আন্তর্জাতিক পরিষদ, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংঘ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম ব্রিগেড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বৌদ্ধ ছাত্র সংসদ, বিচ্চু বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধা ঐক্যমঞ্চ, বৃত্তান্ত ৭১ ফাউন্ডেশন অংশ নিয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে ছিলেন, চিত্রনায়ক রিয়াজ, চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জামান, সংগীতশিল্পী শুভ্র দেব, অভিনয় শিল্পী আহসানুল হক মিনু, শাহেদ শরীফ খান, তানভীন সুইটি, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, আনজাম মাসুদ, শামীমা তুষ্টি প্রমুখ। সম্পাদনা: মোশাররফ