প্রকাশিত: Wed, Apr 12, 2023 6:34 AM
আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 12:11 PM

ডিজিটাল পেমেন্টে রেমিট্যান্স বাড়বে: আতিউর রহমান

শহীদুল ইসলাম: আর্থিক লেনদেন কাগজের পরিবর্তে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ইন্টার-অপারেবল সিস্টেমে হলে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দ্বিগুণ হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। 

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘কাগজের অর্থ ডিজিটালে রূপান্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিটাল মুদ্রা গ্রহণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্কলারস বাংলাদেশ সোসাইটি, ইমাজিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড ও টিয়ার ওয়ান সলিউশন লিমিটেডের উদ্যোগে সেমিনারটির আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্য আতিউর রহমান বলেন, বর্তমানের বিশ্বের যে অর্থনীতির গতি সেই গতির সঙ্গে তাল মেলাতে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের বিকল্প নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ চাই, সবার জন্য চাই। ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সবচেয়ে বড় উদাহরণ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রতিদিন ৩ হাজার কোটি টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয়। বর্তমানে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠান প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার, সেটা বেড়ে ৪ বিলিয়ন না হলেও ৩ বিলিয়ন হতো। এতে করে কমে যেত হুন্ডি ব্যবসাও।  

আতিউর রহমান বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং এখন এতোটাই মানুষের হাতের নাগাল এসেছে যে, একজন রিকশাওয়ালাও দিনে দুইবার বাড়িতে টাকা পাঠান। তাই জিডিটাল ব্যাংকিংয়ের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকও সেন্টাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি) কার্যক্রমের ব্যাপারে একটু ধীর গতিতে এগোচ্ছে। সেটা সমস্যা নয়, তারা আস্তে আস্তে ক্যাশলেস পেমেন্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল এস কাদির বলেন, বিকাশ গ্রাহকের টাকা সুরক্ষিত রাখে। বিকাশের টাকা কোথায় বিনিয়োগ হয় প্রতিদিন এর তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানো হয়। বিকাশের ৭৩ শতাংশ অর্থ সরকারের ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে। বাকি অর্থ বিভিন্ন ব্যাংকে ডিপোজিট করা আছে। এটা হয়েছে কেবল ডিজিটালাইজেশনের কারণে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকদের আস্থা জরুরি। আমরা সেই আস্থা অর্জন করতে পেরেছি।

সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইটি প্রফেশনাল ইন অস্ট্রেলিয়ার ড. মিজানুর রহমান, অস্ট্রেলিয়ার সিকিউ ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ল’ বিভাগের ড. মাসুদ ঈসা, কান্ট্রি ম্যানেজার, মাস্টারকার্ডের সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল ও উন্নয়ন সমন্বয়ের ইমেরিটাস ফেলো খন্দকার শাখাওয়াত আলী। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না