আইনুর ইসলাম:  রবি মৌসুমে কৃষকরা অন্যান্য আবাদের চেয়ে ভুট্টা চাষে বেশি ঝুঁকছেন। সব ধরনের জমিতে আগে শোভা পেত কাউন, তিশি, মরিচ, কচুসহ অন্যান্য ফসল। এখন এসব ছেড়ে ভুট্টা চাষে উৎসাহী হচ্ছে কৃষক।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, বগুড়ায় এবারও ভুট্টার আবাদ বেড়েছে। জেলায় এবার খরিপ মৌসুমে মোট ভুট্টার চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছর রবি মৌসুমে ৮ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল। আর ভূট্টার উৎপাদন হয়েছিল ১২ হাজার ৬৭০ টন। এবার আশা করা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯০০ টন। 

প্রতি হেক্টরে খরচ হবে ৮০ হাজার টাকা। তবে ভুট্টার ফলন প্রতি হেক্টর জমিতে ৮ দশমিক ৬ টন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অল্প খরচে কম সময়ে অধিক মুনাফা অর্জনকারি ফসল হওয়ায় কৃষক গম কাটার পরে ভুট্টা লাগাতে বেশ ব্যস্ত। দেশে বর্তমানে উচ্চ ফলনশীল ভুট্টার মধ্যে রয়েছে এন এইচ-৭৭২০, এনকে-৯৪০, সুপার সাইন-২৭৪০, এম গোল্ড-৯০০ ইত্যাদি রবি ও খরিপ মৌসুমি ভুট্টা। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি এলাকার কৃষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ৬ বিঘা জমিতে এন এইচ-৭৭২০ উচ্চ ফলনশীল জাতের ভুট্টা আবাদ করেছি। 

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলবুর রহমান জানান, ভুট্টার আয়ুকাল ১১০-১৩০ দিন হওয়ায় এবং ফলন ও চাহিদা থাকায় এ ফসলটির আবাদ দিনদিন বাড়ছে। এছাড়াও বগুড়ার কৃষকদের বিভিন্ন ফসল চাষে প্রশিক্ষণ ও  সরকারিভাবে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান