সালেহ্ বিপ্লব, মাজহার মিচেল: বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠক হয়। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

চুক্তি সইয়ের আগে এখানে দুই প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দুই প্রধানমন্ত্রী। 

শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিসিদা এবং আমি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আদ্যেপান্ত আলোচনা করেছি। আমরা খুব খুশী যে, বাংলাদেশ-জাপান বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পকর্কে ‘ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছাতে পেরেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে তাদের যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার জন্য জাপানকে অনুরোধ জানিয়েছি।

বৈঠকে উভয় পক্ষ মহেশখালি-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগ (এমআইডিআই) এবং বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিগ-বি) অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের মধ্যেই ঢাকা-নারিতা সরাসরি বিমান চলাচলের ঘোষণা করতে পেরে আমরা খুশী। তিনি জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে এমআইডিআই ও বিগ-বি উদ্যোগ গ্রহণ এবং বঙ্গোপসাগর ও পাশ্ববর্তী অঞ্চলগুলোর যোগাযোগ স্থাপনের বিষয় নিয়েও তারা আলোচনা করেন।

মহামারি কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার আগে ২০১৯ সালে সর্বশেষ সফরের তিন বছর পর শেখ হাসিনা জাপান সফর করছেন। চারদিনের সরকারি সফরে গত ২৫ এপ্রিল বিকেলে তিনি টোকিও পৌঁছান। ওইদিন সকালে তিনি জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের সরকারি সফরের উদ্দেশে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। 

জাপান সফর শেষে ২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টোকিও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন যাবেন। যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ০৪ মে যুক্তরাজ্যের লন্ডন যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্পাদনা: এল আর বাদল