শাহাদাত হোসেন: প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার ভরা মৌসুম এখন। কিন্তু প্রচণ্ড তাপমাত্রা ও অনাবৃষ্টির কারণে নদীর পানি লবণাক্ত হয়ে পড়েছে। তাই নদীতে মা মাছের আনাগোনা বাড়লেও ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ নেই বলে ধারণা হালদা বিশেষজ্ঞদের। 

হালদা গবেষক, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২০ এপ্রিল হালদা নদীর সাত্তারঘাট থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত স্পনিং গ্রাউন্ডের বিভিন্ন অংশ থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। নদীর পানিতে স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক লবণাক্ততার উপস্থিতি দেখা যায়। 

তিনি বলেন, ভারী বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হলে পানিতে এই লবণাক্ততার পরিমাণ কমে আসবে। বিদ্যমান উচ্চ তাপমাত্রা, সামান্য লবণাক্ততা ও অন্যান্য প্যারামিটার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢল নেমে আসলে আগামী পূর্ণিমার জোতে অর্থাৎ মে মাসের প্রথম সপ্তাহে নদীতে মেজর কার্পজাতীয় মা মাছের ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

রাউজান উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পীযূষ প্রভাকর বলেন, এই মুহুর্তে নদীতে ডিম ছাড়ার পরিবেশ অনুকূলে নেই। আরো কদিন সময় লাগবে। তবে রাউজান ও হাটহাজারী অংশের চারটি হ্যাচারিসহ দু’পাড়ের মাটির কুয়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দু’পাড়ে ডিম সংগ্রহকারীরা জাল ও নৌকা নিয়ে প্রস্তুত।

জানা গেছে, ডিম সংগ্রহকারীর সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয় শ’। তারা নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করে মাটির তৈরি কুয়া বা হ্যাচারিতে ডিম ফুটিয়ে উন্নত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পোনা উৎপাদন করে ভালো দামে বিক্রি করেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব