প্রকাশিত: Wed, May 3, 2023 5:30 AM আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 11:10 PM
যুক্তরাষ্ট্রে ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকার
খুনি, সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও মানুষ পোড়ানো দলের সঙ্গে আলোচনার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী
সালেহ্ বিপ্লব: যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সাক্ষাতকার নিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগ। গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় সাক্ষাৎকারটি নেন শতরূপা বড়ুয়া।
সাক্ষাৎকারে র্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং স্মার্ট বাংলাদেশসহ নানা প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি খোলামেলা আলোচনা করেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের জন্য সার্বজনীন পেনশন ব্যব¯'াপনা আইন পাশ করা হয়েছে। আগামী জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে এই আইন চালু হ"েছ। বর্তমানে ঐ"িছক হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে এটি সব নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক করে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করার ল্য বাংলাদেশ সরকারের। এ বিষয় নিয়েও সাাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে, বিএনপি ও তার মিত্রদের এই দাবি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন কিনা সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে।
জবাবে তিনি বলেন, আমরা কিন্ত বার বার বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও। আসলে বিএনপি এমন একটা রাজনৈতিক দল, এই দলটার সৃষ্টি করেছে এক জন মিলিটারি ডিকটেটর। তারপরও যাই হয়েছে, একটা রাজনৈতিক দল যখন তৈরি হয়েছে, তারা ইলেকশন করবে। ২০১৮ সালে তাদের (বিএনপির) সঙ্গে ডায়ালগ করলাম। তারা আসলো ইলেকশনে। আমাদের সংসদে সিট হলো ৩০০। তারা নমিনেশন দিলো সাতশো সাড়ে সাতশো। আর মানুষ ভোট দেওয়ার আগে দেখে, দলের নেতা কে? তাদের নেতা দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। মামলা কিন্তু আমরা দেইনি, কেয়ারটেকার আমলে হয়েছে। তো তাদের পরবর্তী যে নেতা, যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছে, সে তো আরেক ধাপ উপরে। এখন আমাকে বলেন, বিএনপি যে ইলেকশন করবে, তাদের নেতা কে? ওদের দলের গঠনতন্ত্রে বলা আছে, সাজাপ্রাপ্ত হলে নেতৃত্বে থাকতে পারবে না। তাহলে জনগণ তাদের ওপর বিশ^াস রাখবে কী করে? আর তারাই বা ইলেকশন করবে কী করে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলোচনার কথা যদি বলেন, এতো অন্যায় যারা করেছে, তারপরও দেশের স্বার্থে; গণতন্ত্রের স্বার্থে আমি কিন্তু এদের সঙ্গে আলোচনাও করেছি। আলোচনার পরও ২০১৮ নির্বাচনটা তারা, বলতে পারেন, সিট বিক্রি করেছে। নির্বাচন করার অবস্থা না থাকায় এক পর্যায়ে মাঠ ছেড়ে দেয়। নির্বাচনটা প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের সঙ্গে ডায়ালগটা কীভাবে করবো? ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পরও তাদের সাথে কথা হয়েছে। খালেদা জিয়ার ছোটো ছেলে মারা গেলো। প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও অ্যাপয়েন্টমেন্ট কনফার্ম করে আমি একজন মাকে সান্ত্বনা দিতে গেলাম। আমাকে ঢুকতে দেওয়া হলো না। চরম অপমান করা হলো। তাহলে বলেন, কাদের সাথে ডায়ালগ করবো? এখন আর তাদের সাথে কথা বলার কিছু নেই। আমার ২১ হাজার নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করেছে। মানুষকে পুড়িয়ে মরেছে। ওই মানুষগুলোকে দেখলে তাদের সাথে আর বসতে ইচ্ছে হয় না। মনে হয়, ওদের সাথে বসলে যেন সেই পোড়া মানুষগুলির পোড়া গন্ধটা আমি পাই। সম্পাদনা: শামসুল বসুনিয়া
আরও সংবাদ
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
[১]রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: ইকবাল সোবহান চৌধুরী

[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত

[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত

[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র

[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
