তারিক আল বান্না: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার এন্ডোসকপি সম্পন্ন হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বিএনপি নেত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বুধবার সন্ধ্যায় আমাদের নতুন সময়কে জানান, ম্যাডাম আপাতত হাসপাতালেই পর্যবেক্ষণে থাকছেন। মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবে কবে তিনি গুলশানস্থ নিজ বাসা ‘ফিরোজা’য় ফিরবেন।  

জাহিদ হোসেন বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে খালেদা জিয়া হাসপাতালেই থাকবেন।

খালেদা জিয়া রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে। এর আগে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ২৯ এপ্রিল হাসপাতালের যান খালেদা জিয়া। নিয়মিত চেকআপ করার পর বাসায় ফেরার কথা থাকলেও তার মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বছরের জুনে বেগম খালেদা জিয়া হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে এবং তার একটি ব্লকে রিং পরানো হয়।

৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতা নিয়ে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত ছয় দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। জামিনের কারণে তিনি তার গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন। সম্পাদনা: শামসুল বসুনিয়া