প্রকাশিত: Sat, May 6, 2023 5:02 AM
আপডেট: Sat, Jun 28, 2025 5:31 AM

পণ্যমূল্য বেড়েই চলছে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষ

মাসুদ আলম: ঈদুল ফিতরের পর থেকেই রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। প্রায় সবধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে।  নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যে নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে খেটেখাওয়া মানুষের নাভিশ্বাসের উপক্রম।

বাজারে নতুন করে তেল, চিনি, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, মসলা ও সবজির দাম বেড়েছে। অন্যদিকে, ঈদুল ফিতরের আগে বেড়ে যাওয়া গরুর মাংসের দামও কমেনি। ৭৮০-৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ১৫-২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২২০-২২৫ টাকা। এছাড়া সোনালি মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। 

ডিমের ডজন ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়।  সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। ৬০  টাকার নিচে কোন সবজি নেই। 

শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়,  রমজানে যে পেঁপের কেজি ছিল ৪০ টাকা, বতর্মানে তা ৬০ টাকা। বরবটি ৮০-১০০ টাকা, প্রতি কেজি লতি, করলা, উস্তা, চিচিঙ্গা, বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, লাউ ৮০-১০০ টাকা, প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা। তেলের লিটারে ১২ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের লিটারে লিটারে ৯ টাকা বেড়েছে।

বাজার ঘুরে আরো দেখা যায়, আমদানি করা চায়না রসুনের কেজি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। আর দেশি রসুনের কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। রোজার ঈদের দুই-এক দিন পরও চায়না রসুনের কেজি ছিল ১৩০ টাকার আশপাশে। আর দেশি রসুন বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

দেশি আদা ২৭০ এবং আমদানি করা চায়না আদার কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগেও দেশি আদা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং আমদানি করা আদার দাম ২৫০ টাকার মধ্যে ছিল। দুইদিন আগেও ২৭০ টাকা বিক্রি করা হয়। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম অনেকটাই বেড়েছে। তার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। ভাটারা নুরেরচালা মতিন স্টোরের ম্যানেজার আল ইসলাম বলেন, ঈদের পর থেকে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে চলছে। একই বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেশি। আমরা কিভাবে কমে বিক্রি করবো।  আগের মত তেমন সবজি পাওয়া যায় না। মানুষ সবজি কেনার পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছে। 

খিলক্ষেতের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে? সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। এটা ব্যবসায়ীদের কারসাজি। ঢাকা ছেড়ে এখন গ্রামে চলে যেতে হবে। সরকারের উচিত নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব