বিশ্বজিৎ দত্ত: মেয়াদ শেষ হওয়ার ৫ দিন আগে হঠাৎ বিপ্লবী হয়ে গিয়েছিলেন ওয়াসার সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী  গোলাম মোস্তফা। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এমএ রশিদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে গোলাম মোস্তফা ওই বছরের নভেম্বরে চেয়ারম্যান হন। ওয়াসার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন,  তাকসিম এ খানের সমর্থনেই প্রকৌশলী  গোলাম মোস্তফা চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। এরপর থেকে সম্পর্ক ভালই চলছিল। কিন্তু অক্টোবরে যখন গোলাম মোস্তফার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তখনই সমস্যার সৃষ্টি হয়। গোলাম মোস্তফা আশা করেছিলেন তিনি আবারো চেয়ারম্যান হতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাকে সহায়তা করবেন এমডি। মেয়াদপূর্তির পরে আরো প্রায় ৬ মাস তিনি সহায়তার প্রতীক্ষাই করেন। কিন্তু তাকসিম এ খান বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের কাছে ছেড়ে দেন।   তাতেই রেগে যান গোলাম মোস্তফা। এই রাগ থেকেই তিনি তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে আসছেন। এরআগে তিনি ওয়াসার অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে কখনো কোন কথা বলেননি। 

গোলাম মোস্তফার মন্ত্রণালয়ে দেয়া  অভিযোগগুলো হলো, বোর্ড মিটিং করতে দেন না এমডি, আউট সোর্সিংয়ে জনবলের নিয়োগের বিষয় বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হয় না। পানির দাম বৃদ্ধি করেছেন। কোটি টাকার পানি শোধনাগার নির্মাণ বাস্তবায়ন করতে পারেননি এবং বাজেট বর্হির্ভূত খরচ করেছেন। অভিযোগের ধরণ দেখেই বোঝা যায় এগুলো নতুন কিছু নয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব ইব্রাহিম খান বলেন, প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফার মেয়াদ আগেই শেষ হয়েছে। নতুন চেয়ারম্যানের নিয়োগ প্রক্রিয়া আগেই শুরু করা হয়েছিল। এতদিন নতুন কাউকে পাওয়া যায়নি। গোলাম মোস্তফার অভিযোগ সম্পর্কে বরেন, এটি ওয়াসার বোর্ডের সদস্যরা দেখবেন। তারা তদন্ত করে আমাদের কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন। তারা যদি না পারে তবে মন্ত্রণালয় বিষয়টি দেখবে। ওয়াসার নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুজিত কুমার বালা। ওয়াসার নিয়ম অনুযায়ী, একজন চেয়ারম্যান ৩ বছরের জন্য নিয়োজিত হন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব