প্রকাশিত: Wed, May 24, 2023 4:41 PM
আপডেট: Sat, Jun 28, 2025 4:16 PM

দাম যৌক্তিক হলে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি

জনগণ যতোদিন চাইবে ততোদিন ক্ষমতায় থাকবে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী

সালেহ্ বিপ্লব: তিনব্যাপী কাতার ইকনোমিক ফোরামে যোগ দিতে দোহায় অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার তিনি কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সাক্ষাত করেন। আমীরের সরকারি দপ্তর আমিরি দিওয়ানিতে দুই নেতার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তারা দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ফোকাস বাংলা

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ইকোনমিক ফোরামের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে যোগ দেন। এদিন তিনি ব্লুমবার্গ আয়োজিত এ ফোরামে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। কিউইএফ-এর হোস্ট এবং এডিটর ইনচার্জ হাসলিন্দা আমিন জনাকীর্ণ হল রুমে এই অধিবেশন পরিচালনা করেন। বাসস

বাংলাদেশ কীভাবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবে? এই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য। এখন যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে, তাদের জন্ম মিলিটারি ডিকটেটরের মাধ্যমে। মানুষের ক্ষমতা নিশ্চিতের চেষ্টা করছি আমরা। আমি নিশ্চিত করে বলছি যে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। একটি পক্ষ নির্বাচনে আসবে না।

তিনি বিএনপির নাম উল্লেখ না করেই বলেন, ওই দল বা যুদ্ধাপরাধী দল বা আমাদের বাবা-মায়ের খুনিরা হয়তো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। কিন্তু অন্যরা, আরো অনেক দল আছে এবং তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। সুতরাং, আমি বুঝতে পারছি না কেন বারবার এই প্রশ্ন করা হচ্ছে?  নির্বাচন মানুষের অধিকার। জনগণ যদি ভোট দেয় আমরা থাকবো। না দিলে থাকবো না। কিছু নির্বাচন হয়েছে এর মধ্যে, সেগুলো দেখেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে কেউ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবেন। এসে দেখেন। আমি সারভাইভ করেছি। আমি বেঁচে আছি। সেজন্যই এখানে এসেছি। আমি তো বিচারও পাইনি। বাংলাদেশের উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। অবশ্যই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে।

সরকার প্রধান বলেন, এক সময় বাংলাদেশে নির্বাচন ছিল জাস্ট গেইম। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর আমরা দুই বোন রিফিউজি হয়ে গেলাম।  দেশে ফিরলাম ১৯৮১ সালে। তখন থেকেই গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি। আমাদের চেষ্টা ছিল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা। সেটা আমরা করেছি। যমুনা টিভি

আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়ার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কোভিড মোকাবেলা করেছি। এর মধ্যে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলো। সবকিছুর দাম বেড়ে গেলো। আমরা সেই পরিস্থিতি কাটিয়েও উঠলাম। 

তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতি সচল রয়েছে।  জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আমরা আইএমএফের কাছ ঋণ নিচ্ছি আমরা। একটা কথা মনে রাখতে হবে, আইএমএফ তাদেরকেই লোন দেয় যারা পরিশোধ করতে পারবে। বাংলাদেশ এই ঋণ কাজে লাগাতে পারবে। পরিশোধও করতে পারবে। 

উপস্থাপক হাসলিন্দা আমিন প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ভারতের মতো দেশ রাশিয়ার কাছে অনেক কম দামে তেল চাইছে। তার প্রশ্ন, রাশিয়া কি ঢাকার জন্য সম্ভাব্য সরবরাহকারী কিনা?

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া থেকে আমরা কখনোই তেল কিনিনি। যেখানেই তেল পাওয়া যাবে, নিশ্চিতভাবেই আমরা তা নেব, কেন নয়? সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া