রওশন হাবিব : জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি খরিপ মৌসুমে জেলায় শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ২ হাজার হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রা। এর মধ্যে পটল চাষ হয়েছে ৫২০ হেক্টর জমিতে। তবে গত বছরে পটল আবাদে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এ বছর প্রায় ১০০ হেক্টর বেশি জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। 

কৃষকরা জানান, এক একর পটল আবাদে খরচ হয় ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা।  বিক্রি হচ্ছে  ১ লাখ  বিশ হাজার থেকে পঁচিশ হাজার টাকা। এতে কৃষকের একর প্রতি লাভ  হচ্ছে  ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা।

পলাশবাড়ী উপজেলার ধাপেরহাট এলাকার কৃষক সাজু মিয়া জানান, তিনি চলতি মৌসুমে ৬৫ শতক জমিতে পটল চাষ করেছেন। পটল উঠানো পর্যন্ত ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হবে তার। ভালো ফলন হওয়া তিনি আশা করছেন  প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ মণ পটল উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা বাজারে তিনি দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।  

 গোবিন্দগঞ্জের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি পরিমাণ পটল আবাদ করছে কৃষক। তাদের লাভবান করতে সর্বাত্নক সহযোগিতা করা হচ্ছে। 

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম জানান, পটল আবাদে কম খরচে লাভ বেশি হয়। এ কারণে জেলায় দিনদিন পটলের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাষিদের প্রণোদনা দেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান