সালেহ্ বিপ্লব: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন আমরা জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করতে চাই। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে দেশে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে। এটি গত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করেছে। সূত্র: বাসস

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে রোববার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। দেশে-বিদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যারা কাজ করছেন তাদের স্বীকৃতি দিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শান্তি পুরস্কার’ প্রবর্তনের ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০০৮ সালের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর পরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে আমরা দারিদ্র্যের হার এবং মাতৃমৃত্যু হ্রাস করতে এবং শিক্ষার হার ও মানুষের গড় আয়ু বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। একটি শান্তিপূর্ণ টেকসই পরিবেশ জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে সহায়ক এবং সকলকে এটি মনে রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আলোচনার মাধ্যমে সব বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ যে কাজটি ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে করেছে।

তিনি বলেন, এখন কেন এই অস্ত্র প্রতিযোগিতা? অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্য যে অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে তা ক্ষুধার্ত শিশু ও মানুষের জন্য ব্যবহার করা হবে না কেন? এই অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্য হাজার হাজার শিশু ও নারী বিশ্বজুড়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ১০ লাখের বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, যারা নিপীড়নের মুখোমুখি হয়েছিল- যা তাকে ১৯৭১ সালের পরিস্থিতি স্মরণ করিয়ে দেয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। প্রতি মুহূর্তে আমাদের এই স্বাধীনতা বিরোধীদের বাধা অতিক্রম করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন, সারাজীবন শান্তির বাণী প্রচার করেছেন, কিন্তু তাকে জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছে। আমাদের কী দুর্ভাগ্য, যে মানুষটি সারাজীবন শান্তির কথা বলেছেন, তাকে জীবন দিতে হয়েছে। আজ তিনি আর আমাদের মধ্যে নেই, তবে আমরা চাই যে, তার দেশ উন্নত এবং সমৃদ্ধ হিসাবে গড়ে উঠুক। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না