প্রকাশিত: Mon, Jun 12, 2023 11:06 PM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 5:17 AM

বৃষ্টিতে গরম কাটলেও জলাবদ্ধতায় নাকাল হয়েছে রাজধানীর মানুষ

মাজহারুল মিচেল: কয়েক দিনের তীব্র গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষের জীবনযাত্রা। সোমবার রাজধানীর বিভিন্নস্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে গরমের কষ্ট থেকে রক্ষা পায় মানুষ। তবে পথেঘাটে চলতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। রাজধানীর প্রায় সব সড়ক ও অলিগলিতে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। যানবাহন চলাচলের কারণে সৃষ্টি হয় ঢেউয়ের, সেই ঢেউ আছড়ে পড়ে ফুটপাতে, বিড়ম্বনায় পড়েন পথচারীরা। 

পুরান ঢাকার বংশাল ও নাজিমুদ্দিন রো সোহ বিভিন্ন এলাকা, ধানমন্ডি, মিরপুর, হাতিরঝিলের কিছু অংশ, আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেট যেতে নতুন রাস্তা, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট-তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা, মোহাম্মদপুরের কিছু অংশ, মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায়, গুলশান লেকপাড় এলাকার সংযোগ সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ও অলগলিতে গতকালের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। মিরপুর ১০ এলাকায় পথচারীরা অভিযোগ করেন, বৃষ্টি থেমে যাওয়ার ৪০ মিনিট পরও পানি সরেনি। সামান্য বৃষ্টিতেই এ এলাকায় দীর্ঘ সময় পানি জমে থাকে। ভারী বৃষ্টিতে প্রায় হাঁটু পানি জমে যায়। 

জলাবদ্ধ সড়কে রিকশায় গুলশান দিয়ে যাচ্ছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী মানিক মিঞা। তিনি বলেন, যখন যানবাহন যাচ্ছে তখন জমে থাকা পানি এসে রিকশাযাত্রীদের শরীরে পড়ছে। 

এই অল্প বৃষ্টিতেই যদি এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় তাহলে আসন্ন বর্ষায় কেমন ভোগান্তি হতে পারে রাজধানীবাসীর, একবার চিন্তা করুন-এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন উবার মোটো ড্রাইভার মিরাজুল খান।

ফার্মগেট তেজগাও মহিলা কলেজের সামনে দেখা গেলো, ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে গেছে ড্রাইভার এরশাদ আলীর সিএনজি। তিনি সাহায্যের আশায় অন্য চালকদের ডাকছেন। 

বৃষ্টির পানি দ্রুত অপসরণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া অনুরোধ জানান স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।

বর্ষার আগেই যেন রাজধানীর সকল রাস্তা ও গলির ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো করা সেজন্যও তাগিদ দেন তারা।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সকাল ১১টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত চললেও ১১:১৫ থেকে ১১:৪৫ মিনিট পর্যন্ত মূল বৃষ্টি হয়। এতে ৩৭ মিলিমিটার (মি.মি.) বৃষ্টি হয়েছে। আর পরের কিছুক্ষণে ২ মি.মি. বৃষ্টি হলে তাতে সর্বমোট গিয়ে দাঁড়ায় ৩৯ মি.মি.। সে হিসেবে বলা চলে, মাঝারি ধরণের ভারি বৃষ্টি হয়েছে। 

ঢাকার বাইরে সিরাজগঞ্জের তারাশ ও বাঘাবাড়িতে ৩২ মি.মি., নিলফামারীর ডিমলাতে ৩২ মি.মি., কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ২০ মি.মি., নারায়ণগঞ্জে ১৮ মি.মি. এবং দিনাজপুরে ১৬ মি.মি. বৃষ্টি হয়েছে। 

আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানান, গত ৮ তারিখ থেকে কক্সবাজারে বর্ষা শুরু হয়ে গতকাল সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী ১৭ তারিখের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব