মোস্তাফিজুর রহমান: ১৫ জুন, বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন মানবপাচার মোকাবেলা বিষয়ক ২০২৩ সালের বৈশ্বিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। তালিকায় বাংলাদেশ ২০২০ সাল থেকে ‘টায়ার ২’তে আছে। এর আগে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে ‘টায়ার ২ নজরদারি’ তালিকায় রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোর মানবপাচার মোকাবেলার প্রচেষ্টাকে মূল্যায়ন করা হয়। 

মানবপাচার মোকাবেলা প্রচেষ্টায় ন্যূনতম মান অর্জনকারী দেশগুলোকে ‘টায়ার ১’ তালিকায় রাখা হয়। তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার মোকাবেলায় ‘টায়ার ১’-এ আছে। প্রচেষ্টা আছে কিন্তু ন্যূনতম মান অর্জন করেনি এমন দেশগুলোকে রাখা হয় ‘টায়ার ২’-এ। প্রচেষ্টা সত্ত্বেও অগ্রগতি কম এবং পাচার বাড়ছে এমন দেশগুলোকে রাখা হয় ‘টায়ার ২ নজরদারি’ তালিকায়। প্রচেষ্টা কম, অগ্রগতিও নেই এমন দেশগুলোকে রাখা হয় ‘টায়ার ৩’ তালিকায়। সূত্র: কালের কন্ঠ

উক্ত ধাপ তিনটি তৈরি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচারের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা আইনের (টিভিপিএ) বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে। বাংলাদেশের সঙ্গে একই শ্রেণীতে রয়েছে প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মানবপাচার রোধে ন্যূনতম যা করা প্রয়োজন, তা পুরোপুরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে সরকারকে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে। যেমন, পাচারকারীদের বিচার ও শাস্তির আওতায় আনা, পাচারের শিকার রোহিঙ্গাদের নিয়ে মামলার তদন্তে গুরুত্ব আরোপ করা এবং বিদেশে জনবল পাঠানোর সঙ্গে যুক্ত সরকারি সংস্থাগুলোর কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফি কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মানব পাচার রোধে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ন্যূনতম মানদণ্ড বজায় রাখতে পারেনি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, দেশের ভেতরে যৌনকর্মী হিসেবে মানব পাচার বন্ধ এবং পাচারের সঙ্গে জড়িত সবাইকে জবাবদিহির আওতায় না আনা। ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা দেওয়ার প্রচেষ্টাও আগের মতো অপর্যাপ্ত রয়ে গেছে। সূত্র: কালবেলা

এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘মানব পাচার নির্মূলে মানদণ্ড পূরণের জন্য বাংলাদেশ সরকার উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ সূত্র: নিউ এইজ

এছাড়া তারা মানবপাচার প্রতিরোধে ১০ দফা পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশকে, যার মধ্যে প্রথম দফায় বলা হয়েছে অপরাধের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া আরও ভালো করার কথা। পাশাপাশি, মার্কিন বিবেচনায় অপরাধীদের শুধু অর্থদণ্ড নয়, একইসঙ্গে কঠোর কারাদণ্ড দিতে হবে মানবপাচার প্রতিরোধে। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ