প্রকাশিত: Wed, Jun 21, 2023 11:02 PM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 4:36 PM

সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে

সেন্টমার্টিন লিজ দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাই না: প্রধানমন্ত্রী

সালেহ্ বিপ্লব: কাতার ও সুইজারল্যান্ড সফর সম্পর্কে জানানোর জন্য বুধবার দুপুরে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ওয়েস্টমিন্সটার পদ্ধতির সরকারে বিশ^াস করি। নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই নির্বাচন হবে। 

বিএনপির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন তারা তত্ত্বাবধায়ক চায়। অথচ খালেদা জিয়া বলেছিলেন, পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ না। তারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি তারাই নষ্ট করেছে। এ নিয়ে উচ্চ আদালতের রায় স্পষ্ট। সংবিধানেও উল্লেখ আছে, নির্বাচিত সরকার ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এটা সকলেই জানে। তারপরও জানি না কেনো সাংবিধানিক জটিলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর মানে হলো গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা নষ্ট করা। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন প্রশ্ন, জনগণ বিষয়টা কীভাবে নেবে? তারা কি গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ও উন্নয়নকে বেছে নেবে, নাকি ২০০৭ সালের সেই ধরপাকড়-নির্যাতনের দিনে ফিরে যাবে? জনগণই সে সিদ্ধান্ত নেবে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। 

বিএনপি জামায়াতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির চুক্তি করে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিলো। এখন সেন্ট মার্টিন বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বা দেশ কাউকে লিজ দিলে ক্ষমতায় থাকার কোন অসুবিধা নেই। আমি সেটা চাই না। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা। আমার দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেবো না। দেশের কোনো সম্পদ কারো কাছে বিক্রি করে আমি ক্ষমতায় আসতে চাই না। আমার দেশের ভূমি ব্যবহার করে কাউকে আক্রমণ করবেন, সেটা আমি হতে দেবো না। আমাদের দেশ নিয়ে কাউকে খেলতে দেবো না। 

নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদেশিদের দৌড়ঝাঁপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, একটা দমবন্ধ পরিবেশ বিরাজ করছে। এই অবস্থায় নির্ধারিত সময়ের আগে নির্বাচন দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না? 

জবাবে পাল্টা প্রশ্ন করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশে কী এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো যে, সময়ের আগে নির্বাচন দিতে হবে? সংবিধান মোতাবেক যখন নির্বাচন হওয়ার, তখনই হবে। 

তিনি বলেন,  নির্বাচন নিয়ে একেক জন একেক রকম কথা বলবেই। আমি চার বার ক্ষমতায় এসেছি। ক্ষমতা ভোগ করিনি, দেশের জন্য কাজ করেছি। দেশের উন্নয়ন করেছি। আর যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী, তারা তো দেশের উন্নয়ন চায় না। সচেতন নাগরিকরা তাদের কেনো ভোট দেবে? আমি সবার উদ্দেশ্যে বলবো, গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে, সেটা বিবেচনা করে দেখুন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করেছি। মানুষ ভোট দিলে থাকবো, না দিলে থাকবো না। আমরা দেশে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছি। আমাদের যারা ভোটচোর বলে, তারা নিজেরা তো ডাকাত! বিদেশে পালিয়ে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। তাদের অপপ্রচারে কান দেবেন না। 

তিনি বলেন, সুতরাং দমবন্ধ হওয়ার কিছু নেই। খুব সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে। ঠাণ্ডা বাতাস পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যুতের কিছু সংকট ছিলো, অনেকটা কেটে গেছে। বাকিটাও কাটবে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ সংকটের কারণ হিসেবে জ¦ালানি তেল ও কয়লার দাম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আমরা প্রার্থী বাছাইয়ের সময় তার সার্বিক যোগ্যতা যাচাই করি। কে পাস করে আসতে পারবেন, সেটা বিবেচনা করি। এক্ষেত্রে কোনো নারী যোগ্য বলে বিবেচিত হলে তাকেই নমিনেশন দেই। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া