প্রকাশিত: Sat, Jun 24, 2023 11:23 AM
আপডেট: Mon, Jun 30, 2025 12:16 AM

কোস্ট গার্ড-ওশেনগেটের ধারণা

টাইটানিকের পাশেই টাইটানের ধ্বংসাবশেষ, ৫ আরোহীর সবাই মারা গেছেন

সাজ্জাদুল ইসলাম: দীর্ঘ ৭২ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান শেষে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ জুন) জানায়, ছোট ডুবোযান টাইটান সমুদ্রে ডুব দেওয়ার কিছু পরই বিস্ফোরিত হয়। এরপর এটি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। যার ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রের নিচে টাইটানিক জাহাজের পাশে পড়ে আছে। ওই বিস্ফোরণে সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ আরোহীর সবাই নিহত হন। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টাইটানিকের ধনুক থেকে ৫০০ মিটার দূরে পড়ে আছে বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন টাইটানের ধ্বংসাবশেষের অবতরণ ফ্রেম এবং পেছনের অংশ। আটলান্টিকের ৩৮০০ মিটার গভীরে সাবমেরিনটির বিস্ফোরণ ঘটে।

চারদিন আগে সেখানে যাওয়া সাবমেরিন টাইটানকে খুঁজে পেতে মরিয়া চেষ্টা করেছে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ এই কাজে যুক্ত হয় সমুদ্রের গভীরে অনুসদ্ধানে সবচেয়ে ফ্রান্সের সবচেয়ে দক্ষ রোবটযান ‘ভিক্টর ৬০০০’। ‘ভিক্টর ৬০০০’ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে সমুদ্রের তলদেশে এ ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়। ডাইভ এক্সপার্ট ডেভিড মিয়ার্ন্স জানিয়েছেন, ধ্বংসাবশেষের মধ্যে টাইটানের ‘একটি অবতরণ ফ্রেম এবং পিছনের আবরণ’ রয়েছে।

টাইটানের নির্মাতা কোম্পানি ওশানগেট বলেছে, তাদের বিশ্বাস নিখোঁজ সাবমেরিনের যাত্রীরা ‘দুঃখজনকভাবে হারিয়ে গেছেন’। এটি সেই দৃশ্য, যার দিকে ইঙ্গিত করে বিশেষজ্ঞরা যা শুরু থেকেই আশঙ্কা করেছিলেন। তারা বলছিলেন যে টাইটান ওই স্থানে সমুদ্রের চাপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং বিস্ফোরিত হয়েছে। 

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, টাইটানিকের গভীরতায় প্রতি বর্গমিটারে পানির চাপ প্রায় ৪০০০ টন। যানটি নির্মাণে কোনো ত্রুটি থাকলে এই চাপ সামলানো সম্ভব নয়। অনুসন্ধান দলগুলো ওই এলাকায় সাবমেরিনের আরো ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেতে কাজ করে যাচ্ছে।

আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে গভীন সাগরে মারা যাওয়া পাঁচ আরোহীর একজন হলেন ১৯ বছর বয়সী ব্রিটিশ-পাকিস্তানি যুবক সুলেমান দাউদ। তিনি তার বাবা শাহজাদা দাউদের সঙ্গে গত ১৮ জুন ছোট টাইটানে করে মহাসমুদ্রের নিচে ডুব দিয়েছিলেন। তবে সুলেমানের ফুফু আজমি দাউদ সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে বলেছেন, ভয়ানক এই যাত্রায় যেতেই চায়নি সুলেমান। কিন্তু শুধুমাত্র ‘বাবাকে খুশি রাখতেই’ নিজ ইচ্ছার বিরুদ্ধে এতে অংশ নিয়েছিল সে। এমনকি এক আত্মীয়কে নিজের ভয়ের কথাও জানিয়েছিল সুলেমান।

একসঙ্গে ভাই ও ভাতিজাকে হারিয়ে অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আজমি দাউদ। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। এটি একটি অবাস্তব পরিস্থিতি। সম্পাদনা: মাজহারুল ইসলাম