মনিরুল ইসলাম ঃ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেট পাশের দিন বলেছেন, পণ্যমূল্য বাড়ছে বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রভাবে। আর দেশে যে সিন্ডিকেটের কথা বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া সম্ভব। তবে তাতে জটিলতাও আছে। এটা ঠিক বড় বড় গ্রুপগুলো একসঙ্গে অনেক বেশি ব্যবসা করে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসা থেকে অনেক আগেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বার বার একটি কথা উঠে আসছে, আমি ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ীরা আমার দ্বারা সুবিধা পাচ্ছেন। এর জবাবে বলবো, আমি কিন্তু ৫৬ বছর ধরে রাজনীতি করি। আমি ব্যবসা করি আজ ৪০-৪২ বছর। কিন্তু ঘুরে ফিরে কেউ বলেন না আমি রাজনীতিবিদ। তারা বলেন, আমি ব্যবসায়ী, সুযোগটা আপনি ব্যবসায়ীদের দিচ্ছেন।’ বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যাখ্যা দেন তার রাজনীতি নিয়ে, ‘আমি ছাত্র লীগ দিয়ে ১৯৬৬ সালে রাজনৈতিক জীবন শুরু করি।’ 

এর আগে জাতীয় পার্টি, গণফোরাম ও স্বতন্ত্র ১০ সংসদ সদস্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন। তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব করেন। তবে, কণ্ঠভোটে তাদের প্রস্তাব নাকচ হয় এবং মন্ত্রীর প্রস্তাবিত অর্থ মঞ্জুর হয়।

গণফোরামের মোকাব্বির হোসেনের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখানে একজন তো আমাকে পদত্যাগ করতে বললেন। খুব ভালো কথা বলছেন। আমি  প্রধানমন্ত্রীকে বলবো উনি দায়িত্ব নিলে আমাকে ছেড়ে দিয়ে উনারে দায়িত্বটা দিতে পারেন। 

দাম বেড়েছে কোনও সন্দেহ নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজে আমাদের বছর ৬ থেকে ৭ লাখ টন ঘাটতি রয়েছে। কৃষকরা বেটার প্রাইজ পেলে উৎপাদনের দিকে মনোযোগী হবে। তবে এটাও ঠিক কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা হওয়া উচিত নয়। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা আমদানি করেছি। ভারতের আমদানি পেঁয়াজের কেজি এখন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।’

তিনি বলেন, চিনির দামটা আমি নিজেও উপলব্ধি করি। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি। আগেও বলেছি, এটার ডিউটি স্ট্রাকচারটা যদি কমিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে এর দাম ১০০ টাকার মধ্যে চলে আসবে। সেটা হয়তো উনি করবেন। সম্পাদনা: রাশিদ