প্রকাশিত: Wed, Aug 23, 2023 11:59 PM
আপডেট: Mon, Oct 14, 2024 10:20 AM

[১]বেক্সিমকো গ্রুপকে নতুন করে ৪৭৯ কোটি টাকা ঋণ দেয়নি জনতা ব্যাংক

বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] জনতা ব্যাংকের পর্ষদ সভায়  নতুন এই ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও বাংলাদেশ ব্যাংক ২টি শর্ত জুড়ে দেয়ায় এই  ঋণ পায়নি বেক্সিমকো। সম্প্রতি ৪৭৯ কোটি টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেছিল বেক্সিমকো। 

[২] জনতা ব্যাংক সূত্র জানায়, বেক্সিমকো গ্রুপকে অনেক আগেই পর্যায়ক্রমে ২২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এই ঋণের বেশির ভাগই ব্যাক টু ব্যাক এলসি। এই ঋণ ১৮০ দিনের মধ্যেই পরিশোধ করার বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপের। 

[৩] প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকায় নিউজ শিরোনাম ও ফোকাস অংশে যেভাবে বুঝানো হচ্ছে যে বিশেষ বিবেচনায় ২২ হাজার কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যংক। আসল হল, জনতা ব্যংক আগেই এই ঋণ দিয়ে দিয়েছে।

[৪] বাংলাদেশ ব্যাংক বেক্সিমকোকে ঋণ দিতে যে দুটি শর্ত দিয়েছে তা হলো, ব্যংক গ্রাহককে নতুন করে আর কোন ঋণ দেয়া যাবেনা। এবং ২০২৪ এর ডিসেম্বরের ভেতর ঋণ সীমা কমিয়ে ২৫% এর নিচে নামিয়ে আনতে হবে। 

[৫] ব্যংকিং নিয়ম অনুযায়ী সিঙ্গেল পার্টি এক্সপোজার হিসাবে কোন ব্যংক তার মুলধনের ২৫% এর বেশি ঋণ প্রদান করতে পারেনা।  যদি ঋণ দিতেই হয় তবে কেন্দ্রীয় ব্যংকের অনুমতি নিতে হয়।

[৬] কেন্দ্রীয় ব্যাংক জনতা ব্যংকে অডিট করে দেখেছে ব্যংকটি এই নিয়ম অনুসরণ না করেই বেক্সিমকোকে ২২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। যেটা জনতা ব্যংক অনুসরণ করেনি। বেক্সিমকোর ঋণ জনতা ব্যংকের মুলধনের ৯৪৯.৭৮% ছাড়িয়েছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জনতা ব্যংক তথ্য গোপন করেছে। 

[৭] এ ক্ষেত্রে প্রতিদিনির বাংলাদেশের নিউজের শিরোনাম হতে পারতো বেক্সিমকো গ্রুপকে ঋণ দিতে তথ্য গোপন করেছে জনতা ব্যাংক।  

[৮] সাধারণ মানুষের তথ্য জানবার অন্যতম মাধ্যম সংবাদপত্র। এজন্য এখানে দায়িত্ববোধ থাকাটা জরুরি। সামান্য টুইস্ট করে এভাবে শিরোনাম করলে অনেক নাটের গুরু আড়াল চলে যায়। সম্পাদনা: এম খান