এম এম লিংকন: জাতীয় শিক্ষা কমিশনে আলেমদের প্রতিনিধি রাখা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা। এছাড়া দলীয় নেতাকর্মী ও আলেমদের মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারসহ ৭ দফা দাবি জানায় তারা। শনিবার রাজধানীর গুলিস্তানে কাজী বশীর মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে এ দাবি জানান হেফাজত নেতারা।  

হেফাজতের সাবেক মরহুম আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ঘোষিত ১৩ দফা বাস্তবায়ন এবং জাতীয় শিক্ষানীতিতে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচনের প্রতিবাদে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। শাহ আহমদ শফী ঘোষিত হেফাজতের ১৩ দফা আন্দোলনে ক্ষমতাকেন্দ্রিক কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই উল্লেখ করে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমীর শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, এগুলো আহমদ শফীর রেখে যাওয়া আমানত। একজন মুমিনের কাছে তার জানের চেয়েও ঈমান প্রিয়। অতএব দেশের প্রতিটি মুসলমানই হেফাজতের নেতাকর্মী বা সমর্থক।  মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের শিক্ষানীতি নিয়ে বারবার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে দাবি করে সংগঠনটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, এবার তারা ধর্মীয় শিক্ষার পরীক্ষাই বাতিল করে দিচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। আমাদের দাবি জাতীয় শিক্ষা কমিশনে আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়ার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

পরে সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে- অবিলম্বে হেফাজত নেতাকর্মী ও আলেম ওলামাদের মুক্তি দিতে হবে, নেতাকর্মীদের নামে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, ইসলাম ও মহানবী সা. কে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে সংসদে আইন পাস করতে হবে, কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে, শিক্ষা কারিকুলামে ধর্মীয় শিক্ষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে, জাতীয় শিক্ষা কমিশনে হাইয়াতুল উলিয়ার প্রতিনিধি থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে ও বিশ্ব ইজতেমায় বিতর্কিত মাওলানা সা‘দ কে আসার অনুমতি দেওয়া যাবে না। সম্পাদনা: এল আর বাদল