প্রকাশিত: Mon, Feb 12, 2024 11:27 AM আপডেট: Tue, Sep 17, 2024 8:57 PM
প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যু একটি হত্যাকাণ্ড :চা শ্রমিক ফেডারেশন
[১]ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার সময় প্রীতির পরনে ছিলো শুধু জামা, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গায়েব
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার: [২] চা শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, তার যথাযথ বিচার নিশ্চিতের দাবিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন সবসময় সোচ্চার আছে এবং একই সাথে চা জনগোষ্ঠীর সকল প্রকার ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন পাশে থাকবে।
[৩] রোববার সকালে কমলগঞ্জের মির্তিংগা চা বাগানে প্রীতি উরাং-এর বাড়িতে খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন এবং হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি দাবি করেন।
[৪] চা শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক কিরণ শুক্ল বৈদ্য, অর্থ সম্পাদক প্রেম কুমার পাল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী এবং স্থানীয় চা শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।
[৫] নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপকালে প্রীতির বাবা-মা জানান, ডেইলি স্টারের মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি মিন্টু দেশোয়ারার মাধ্যমে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজে যায় ছোট মেয়ে প্রীতি। শুরুতেই পরিবারের লোকজনের সাথে প্রীতির যোগাযোগ তেমন করতে দেওয়া হতো না। ৬ ফেব্রুয়ারি যে দিন প্রীতি মারা যায় সেদিন মিন্টু দেশোয়ারা তাদেরকে শ্রীমঙ্গল যাওয়ার কথা বলেন। শ্রীমঙ্গল গেলে পরে মিন্টু দেশোয়ারা তাদের মেয়ে মারাত্মক অসুস্থ বলে জানান এবং এখনই তার সাথে ঢাকায় যেতে বলেন। সাংবাদিক মিন্টু দেশোয়ারার সাথে তারা ঢাকায় গেলে সরাসরি থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে জানতে পারেন মেয়েটি নাকি নয় তলা থেকে পড়ে মারা গেছে। এরপর প্রীতির লাশ নিয়ে বাড়ি চলে আসেন। তারা কোনো মামলা হলো কি না সেটা জানেন না। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং মেয়ে প্রীতি হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
[৬] চা শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ প্রীতির পরিবারের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, সাংবাদিক মিন্টু দেশোয়ারার উচিত ছিলো মেয়েটাকে স্কুলে পাঠানোর সামগ্রিক আয়োজন করা। তিনি তা না করে শিশুটি কাজে ঢুকিয়ে দিলেন যা প্রচলিত আইনে শিশু শ্রম নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। একই অপরাধে মিন্টু দেশোয়ারাও অপরাধী এবং তারও বিচার হওয়া দরকার। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী