প্রকাশিত: Wed, May 15, 2024 11:39 AM আপডেট: Tue, Sep 17, 2024 9:25 PM
[১]গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড দেশের ওপর ঋণের বোঝা বাড়াচ্ছে: টিআইবি
সালেহ্ বিপ্লব: [২] ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের (টিআইবি) বক্তব্য, গত এক দশকে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিএসএফ) বা সবুজ জলবায়ু তহবিলের ভূমিকা হতাশাজনক। জিএসএফ অনুদানের পরিবর্তে অধিক পরিমাণ ঋণ প্রদানের ফলে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ওপর ঋণ পরিশোধের বোঝা বাড়ছে।
[৩] টিআইবি’র ‘সবুজ জলবায়ু তহবিলে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অভিগম্যতা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
[৪] সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জিএসএফে জবাবদিহিতার কোনো অবকাঠামো নেই। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন করছে ও বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
[৪.১] জিসিএফ স্বীকৃত ‘তহবিল পাওয়ার যোগ্য’ ১৫৪টি দেশের মধ্যে ২৫টি (১৬.২%) দেশ প্রকল্প পায়নি। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি দেশ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের। এ ছাড়া ‘বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ৯৬টি দেশের মধ্যে ৮টি দেশ প্রকল্প পায়নি। জিএসএফের এসব ত্রুটি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের দেন-দরবারের সুযোগ রয়েছে।
[৪.২] তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে অর্থ প্রয়োজন, জিএসএফের মাধ্যমে সিংহভাগ আসার কথা। কিন্তু জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো এর সুফল পাচ্ছে না। তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে বেশি অর্থায়ন করছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
[৫] গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতি প্রতিরোধে জিএসএফের জিরো টলারেন্স নীতি থাকলেও ইউএনডিপির মতো বড় প্রতিষ্ঠানের জলবায়ু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অমীমাংসিত রেখে তাদের পুনঃস্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। জিএসএফ ইউএনডিপিকে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।
[৫.১] প্রতিবেদনে জানানো হয়, জিএসএফের ঋণের অর্থ বিদেশি মুদ্রায় সুদের সঙ্গে ফেরত দিতে হয়। যা ঋণগ্রহীতা দেশগুলোর বহিস্থ ঋণের বোঝা বাড়ায়। এর ফলে স্থানীয় মুদ্রার ওপর চাপ সৃষ্টিসহ জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
[৫.২] তহবিলে বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অসম প্রতিযোগিতা বিরাজ করছে। দুর্নীতি প্রতিরোধসহ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতার ঘাটতির অজুহাতে জিএসএফ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশে বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
[৬] সংবাদ সম্মেলনে সবুজ জলবায়ু তহবিলের কান্ট্রি ওনারশিপ নীতিমালা স্পষ্ট করা, তহবিল বাড়ানো, জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়াসহ ৪৪টি সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়েছে।
[৬.১] সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষক নেওয়াজুল মাওলা ও সহিদুল ইসলাম। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী