প্রকাশিত: Sun, Jan 1, 2023 2:34 PM
আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 12:48 AM

মানবাধিকার রক্ষায় সরকারকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এইচআরএসএস

খালিদ আহমেদ: সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা এবং আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)। এ অবস্থায় মানবাধিকার রক্ষায় সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার এইচআরএসএস বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২২ এর বার্ষিক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক অনেক সাফল্য অর্জন করলেও স্বাধীনতার পর গত ৫১ বছরেও আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সভা সমাবেশ করার অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা, নারীর অধিকারসহ সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি।

এইচআরএসএস জানায়, ২০২২ সালের বার্ষিক মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এ বছরেও শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশে বাধা দেওয়া, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গায়েবি মামলা, রাজনৈতিক গ্রেপ্তার, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, প্রশাসনের হেফাজতে নির্যাতন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আইনবহির্ভূত আচরণ, ধরে নিয়ে যাওয়ার পর গুম করার অভিযোগ, নারীর প্রতি সহিংসতা এবং গণপিটুনিতে মানুষ হত্যা অব্যাহত আছে। এতে বলা হয়, বিএনপির ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের আগে ডিবি পুলিশের একটি দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গভীর রাতে তাদের বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে আনে এবং পরবর্তীতে একটি মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, যা উদ্বেগজনক।

প্রতিবেদনে মত প্রকাশের ওপর হস্তক্ষেপ বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাসমূহের অপ্রয়োগ, মামলা ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে বলে উঠে আসে। একটি পরিসংখানে দেখা গেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার প্রায় ৮১% মামলা সরকার ও সরকার দলীয় লোকজন দ্বারা হয়েছে বলে জানায় এইচআরএসএস।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক ৫১ টি হামলার ঘটনায় শারীরিক নির্যাতন ও গুলি করে ২৩ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে, আহত করা হয়েছে ১৯ জনকে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৮ জন। এছাড়াও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি কর্তৃক মর্টার সেল হামলায় ১ জন নিহত ও আহত হয় ৬ জন।

অনতিবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে বলে মনে করে এইচআরএসএস। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব