প্রকাশিত: Sun, Jan 8, 2023 4:57 PM
আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 4:55 AM

খুব কষ্টে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ

জেরিন আহমেদ: টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। রাজধানীতে যে সব শ্রমিক দিনচুক্তিতে কাজ করেন, তারা শীত উপেক্ষা করে বের হলেও অনেকে কাজ পাচ্ছেন না। রিকশা ও ভ্যান চালান যারা, তাদেরও আয় কমে গেছে। একই চিত্র সারাদেশে। 

যশোর শহরের লালদিঘী পাড়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ মানুষ শ্রম বিক্রির জন্য জড়ো হয়ে থাকেন। রোববার সকালে সেখানে দেখা গেছে, কাজ না পাওয়ায় অনেকেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। কিছু মানুষ অনেক বেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন কাজের আশায়। শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার বাসিন্দা বদিয়ার জামাল (৫৫) বলেন, ৪৫ বছর ধরে শ্রমিকের কাজ করছি। আগে স’মিলে কাজ করতাম। এখন শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। চার-পাঁচদিন ধরে কাজের জন্য আসি। ভোর ৬টায় এসে বসে থাকি। কিন্তু কাজ পাচ্ছি না। কী খাবো, না খাবো তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। কোনো সাহায্য সহযোগিতাও পাচ্ছি না।

কুয়াশার চাদরে চারপাশ ঢাকা থাকায় সবারই স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে। গ্রামগঞ্জে হিমেল বাতাসের সঙ্গে ঠান্ডা বেশি থাকায় কষ্ট বেড়েছে জনজীবনে। প্রচন্ড বাতাসে গ্রামাঞ্চলে উঠানে রান্না করাও মুশকিল হয়ে পড়েছে। গাইবান্ধা রেলস্টেশনসংলগ্ন রেললাইনের পাশে ছোট ছোট টিনের ঝুপড়ি ঘরে দরিদ্র মা-বাবার সঙ্গে থাকে পটল (৫), আঁখি (৮), শরীফা (৬), নূর আলম (১২), বকুলের (৮) মতো শিশুরা। তারা জানায়, ঝুপড়ি ঘরে বিকেল থেকেই ঢুকে পড়ে তীব্র হিমেল হাওয়া আর কুয়াশা। গরম কাপড়ের অভাবে গাদাগাদি করে থাকতে হয় তাদের। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব