আনিস তপন : [২] এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, এই পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে এ ধরণের একটি বিধিমালা প্রণয়নে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে সরকার। [৩] এই বিধিমালা কিভাবে হবে, কি কি বিষয় এতে অন্তর্ভূক্ত থাকবে এবং এই বিধিমালার আওতায় কিভাবে সাপের খামার ও চাষ পদ্ধতি করা যাবে। এর অর্থনৈতিক বেনিফিট কি এসব বিষয় নির্ধারণের লক্ষ্যে খুব শীঘ্রই বন অধিদপ্তরে একটি সেমিনার আয়োজন করা হবে। [৪] এতে সাপ চাষী বা খামারী, সাপের বিষ প্রত্রিয়াকরণ বা এই বিষয়ে অভিজ্ঞজনসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের অংশ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। তাদের সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শ করে একটি বিধিমালার খসড়া প্রস্তুত করে এই বিষয়ে স্টেকহোল্ডারসহ অভিজ্ঞজনের মতামত নিয়ে একটি পরিপূর্ণ বিধিমালা তৈরীর চিন্তা করছে সরকার।[৫] ইতিমধ্যে অনেকেই কিং কোবরা, রাসেল ভাইপার, বন্ডেড ক্যারেট, গোখরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপের খামার গড়ে তুলেছেন। নিজ উদ্যোগেই এসব খামার তৈরী করেছেনে খামারিরা। যদিও এখ নপর্যন্ত এধরণের খামার করার জন্য সরকার কোনো অনুমতি দেয় না।[৬] তাছাড়া সারা বিশ্বে ওষুধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে কাঁচামাল হিসেবে সাপের বিষের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মাঝে মাঝে আমাদের দেশেও গোপনে সাপের বিষের সংগ্রহ এবং ভিন্ন দেশ থেকে চোরাচালনের মাধ্যমে সাপের বিষ সংগ্রহ করে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। সম্পাদনা : ইসমাঈল ইমু