প্রকাশিত: Thu, Jan 12, 2023 7:11 AM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 4:34 AM

দুনিয়ার ভালোটা শেখার জন্য যে সমাজ প্রো-অ্যাক্টিভ হয়ে থাকে, তাদের অগ্রগতি অপ্রতিরোধ্য

রউফুল আলম 

সহস্র মেধাবী প্রকল্প হলো চীনের খুবই সফল একটা প্রজেক্ট। এই প্রজেক্টের মধ্য দিয়ে চীন তার দেশের সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট সায়েন্টিস্টদের ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেসব সায়েন্টিস্টরা দুনিয়ার সেরা সেরা ইউনিভার্সিটিতে, ল্যাবরেটরিতে পিএইচডি-পোস্টডক করেছে। পৃথিবীর খ্যাতনামা জার্নালগুলোতে আর্টিকেল পাবলিশ করেছে। ঈঁঃঃরহম বফমব রিসার্চ শিখেছে। বয়সও খুবই তরুণ ওরা। ৩০-৩৫ বছর বয়স। সেসব তৈরিকৃত (জবধফু-সধফব) গবেষকদের মধ্য থেকে ছেঁকে ছেঁকে সেরাদের সেরাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চীন সরকার সেসব তরুণদের জন্য ল্যাবরেটরি খুলে দিয়েছে। তাদের উচ্চ বেতন-ভাতা দিচ্ছে। গবেষণার জন্য ফান্ডিং দিচ্ছে। প্রেসারও দিচ্ছে। যারা ভালো গবেষণা করতে পারছে না, তারা পজিশন টিকিয়ে রাখতে পারছে না। এমন একটা প্রজেক্ট যদি বিশ বছরও চালু থাকে, তাহলে বিশ হাজার বিজ্ঞানী তৈরি হচ্ছে। তারা ওষুধ আবিষ্কার করছে। তারা মহাকাশ গবেষণা করছে। তারা রোবট বানাচ্ছে। সারা দুনিয়ার বিজ্ঞানের সাথে টেক্কা দেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে।

আমরা যখন বলছি, ‘ব্রেইন ড্রেইন, চীন তখনব্রেইন গেইন করছে। চীনের তরুণরা পশ্চিমের জ্ঞান-গবেষণার সংস্কৃতিতে প্রশিক্ষিত হয়ে, চীনে গিয়ে মেধাকে ঢালছে। সরকার তেমন ব্যবস্থা করে দিয়ে রেখেছে। সবাই ফিরে যাচ্ছে না। সবাইকে ফিরে যাওয়ার দরকারও নেই। -১০ শতাংশ ফিরে যাচ্ছে, তাতেই যথেষ্ট। কয়েকদিন আগে, চীনের সহস্র মেধাবী প্রকল্প নিয়েসায়েন্স জার্নালে একটা আর্টিকেল প্রকাশিত হয়। সেখানে সারমর্মে বলা হয়েছে, তাদের এই প্রকল্প অনেক সফল। এই প্রকল্পের অধীন যেসব বিজ্ঞানীরা চীনে ফিরে গিয়েছে, তারা অনেক বেশি সায়েন্টিফিক আর্টিকেল প্রকাশ করতে পারছে। চীনের এই সহস্র মেধাবী প্রকল্পÑযথারীতি অন্যান্য অনেক দেশ অনুসরণ করছে। দুনিয়ার ভালোটা শেখার জন্য যে সমাজ প্রো-এক্টিভ হয়ে থাকে, তাদের অগ্রগতি অপ্রতিরোধ্য। ফেসবুক থেকে