প্রকাশিত: Thu, Jan 12, 2023 7:12 AM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 3:37 AM

শিক্ষাকে কীভাবে গণমুখী করা যাবে?

সুদেব চক্রবর্তী 

পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করা হয়েছে। তার চেয়ে বড় কথা শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সুদূরপ্রসারী চিন্তা থেকে এটি করা হয়েছে। কিন্তু যে রূপরেখা দেখছি তাতে শিক্ষাব্যবস্থা আরও রসাতলে যাবে বলেই মনে হচ্ছে। যে সিস্টেম, যে সিলেবাস, যে টপিক তাতে কতটা উপকার হবে? তাছাড়া এই সিস্টেম মাঠে নামানোর আগে মাঠটাই তো রেডি করা হয়নি। অর্থাৎ মাঠ রেডি না করেই ইমপ্লিমেন্টেশন করার জন্য নামিয়ে দেয়া হলো। বলা হচ্ছে, এটা পরীক্ষামূলক। কিন্তু এই এক্সপেরিমেন্ট দেখেই তো হতাশ হতে হলো। কেননা, এগুলো ছেলেমেয়েদের বেসিক এডুকেশন ধ্বংস করবে।

এর আগে আমরা সৃজনশীল পদ্ধতি পেয়েছিলাম। পরে দেখলাম নামেই সৃজনশীল। তাতে সুফল আসেনি। ঝাঁকে ঝাঁকে প্লাস বেরিয়েছে। মান বাড়েনি। এবার মান বাড়ানোর জন্য বিস্তর গবেষণা করে, দেশে-বিদেশের নানা পদ্ধতি যাচাই-বাছাই করে আরেক উদ্ভট সিস্টেম চালু করা হলো। শিক্ষাকে কি এভাবে একমুখী করা যাবে? এভাবে কি গণমুখী করা যাবে? কাগজের দাম বেড়েছে। দাম কমানোর জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে এই অদ্ভুত সিলেবাস তৈরিতে কাগজের অপচয়ই হয়েছে বলা যায়। যদিও একদম নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার করা হয়েছে। দেশের অন্যান্য সেক্টরের মতো শিক্ষাটাও গেলো আর কী! যদিও দেশে তথাকথিত উন্নয়নের জোয়ার বইছে। কিন্তু শুভঙ্করের ফাঁকি কে বুঝবে! ফেসবুক থেকে