
প্রকাশিত: Sat, Jan 14, 2023 3:44 PM আপডেট: Sun, May 11, 2025 5:34 AM
সোলেদারে রাশিয়ার বিজয় এবং পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম
মঞ্জুরে খোদা টরিক
পুতিন অসুস্থ, পরে যাচ্ছেন, মরে যাচ্ছেন। এই তো আর ক’দিন তারপর পুতিন যুগের অবসান। দুনিয়াতে শান্তির সুবাতাশ বইবে। বিশ্বে উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। আমেরিকা ও তাদের অনুগত ইউরোপের কোনো বাধা, আর পথের কাটা থাকবে না। কতদিন ধরে কতভাবে যে তারা পুতিনকে মারার জন্য চেষ্টা করছে, তবু তিনি মরছেন না। তা না মারতে পারলে মারার গল্প ফাঁদতে তো অসুবিধা নেই। তাতে বিশ্বে পুতিনের দুই-চারজন বেয়াড়া অনুসারী থাকলে তারা সোজা হয়ে যাবে, লাইনে চলে আসবে।
পশ্চিমার সংবাদ মাধ্যম কম চেষ্টা করছে না। তাকে বাটে ফেলার কাজ হচ্ছে না। বরং তারা নিজেরাই চিপায় পরছে, চিড়া চ্যাপটা হচ্ছে। জার্মান-ফ্রান্স দৌড়-ঝাপ পারছে কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। তাদের দূরবস্থা-সংকটের জন্য পুতিনকে দায়ী করছে। তেলের দাম কমিয়ে, ক্যাপ বসিয়ে পুতিনের আরেক দফা লোকশান করাতে গিয়ে নিজেরা ধরা খেয়ে বসে আছে। তেলের দাম কমবে কি তাদের দেশে আরো উল্টো গেলো। কেউ কেউ দুই নাম্বার লাইনে রাশিয়া থেকে তেল কিনে ইউরোপের বাজারে বেশি দামে বিক্রি করছে। আহা অন্যের জন্য ফাঁদে নিজের মরার অবস্থা। আর মার্কিন তাঁর সাজানো ছক ধরে এখন এলএনজি রপ্তানিতে বিশ্বের শীর্ষে। ইউরোপের বাজার থেকে রাশিয়াকে হটিয়ে নিজেরা দখল নিলো। ইউরোপের শিল্প-বাণিজ্য বন্ধের পর্যায়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, আমেরিকার বিশেষ ছাড়ে ইউরোপের শিল্প-কারখানা মার্কিনে চালান করার প্রক্রিয়া চলছে। আহ কত প্রেম। ভুল রাজনীতি আর মার্কিন ছলনায় একটা মহাদেশ কীভাবে একটা দেশের কব্জায় চলে যায়। এই ইউরোপ শতশত বছর সারা বিশ্বকে শোষণ করেছে। ছলে-বলে-কৌশলে সারা বিশ্বের সম্পদ তারা কব্জা করেছে। শত শত্রুতায়ও রাশিয়া থেকে কম দামে তেল-গ্যাস নিয়ে শিল্প গড়েছে সারা বিশ্বে বাণিজ্য করেছে। ইউরোপকে যদি একটি শরীর কল্পনা করা হয় রাশিয়া ছিল সেই শরীরের রক্ত (জ্বালানি)। এক রাশিয়াই পুরো ইউরোপের প্রায় ৪০ ভাগ জ্বালানি প্রদান করতো। সেই হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলে মার্কিনের গোলায় ইউরো ঢেলে দিচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্ট লেখে-বাথরুমে পড়ে গিয়ে পুতিন কোমায় যায় যায়। পশ্চিমা সেই পুতিন বিরোধী অখ্যাদ্য-বমিই আমাদের পত্রিকা হুবুহু ছাপিয়ে দেয়। এই সংবাদ প্রকাশ হয় তখন পুতিন নিজে মার্সিডিজ ড্রাইভ করে ক্ষতিগ্রস্ত ক্রিমিয়া ব্রিজ ঘুরে ঘুরে দেখছেন।
সে সংবাদ নেই। আহা মিডিয়া। রাশিয়া ৮০টি সেল মেরেছে ইউক্রেন দাবি করেছে তার ৭০টাই তারা ভূপাতিত করেছে। তাহলে বাকি ১০টা আর কি ক্ষতি করলো? কিন্তু তারাই আবার বলছে, রাশিয়ার তাদের ২৫টা স্থাপনার ধ্বংস করে ফেলেছে। ১ কোটি মানুষ অন্ধকারে বরফের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। কীভাবে ক?ি
দেখছিলাম সোলেদারে রাশিয়ার জয়। ডোনেস্কের গুরুত্বপূর্ণ খনি শহর সোলেডারে দখল করেছে রাশিয়া। এটা রাশিয়ার আরেকটি তাৎপর্যপূর্ণ বিজয়। কিন্তু পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমের সে কথা স্বীকার করতে বুক ফেটে যাচ্ছে। রুশ ভাষায় সোলেদার নামের অর্থ ‘লবণের উপহার’ এটা হচ্ছে ইউরোপের বৃহত্তম লবণ খনি। এর ১২০ মাইল ভূগর্ভস্থ টানেল এখন রুশ সৈন্যদের যুদ্ধের কৌশলগত সুবিধা দেবে। সোলেদারে রাশিয়ার বিজয়, বাখমুতে বিজয় এবং সার্ভারস্কে রাশিয়ার অগ্রগতির পথ খুলে দিয়েছে। সার্ভারস্কের পতন লিমানের পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করবে। যুদ্ধে ইউরোপ-রাশিয়ার অবস্থান নিয়ে মান্নাদের এই গানটা মনে পড়ছে, ‘তুমি অনেক যত্ন করে আমায় দুঃখ দিতে চেয়েছো দিতে পারোনি, দিতে পারোনি কি তার জবাব দেবে যদি বলি, আমিই কি হেরেছি? তুমিও কি একটুও হারোনি? তুমিও কি একটুও হারোনি’? লেখক ও গবেষক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
