
প্রকাশিত: Sun, Jan 15, 2023 2:41 PM আপডেট: Sat, May 10, 2025 10:34 PM
অতীত দর্শন!
আরিফ রহমান
সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে আট মিনিট। অর্থাৎ সূর্যের লাইটটা এই মুহূর্তে অফ করে দিলেও আমরা সেটা টের পাবো পাক্কা আট মিনিট পরে। অর্থাৎ আমরা যেকোনো সময়েই যেই সূর্যটা আকাশে দেখি সেটা মূলত আট মিনিট অতীতের সূর্য। এবার সূর্যটাকে সরিয়ে দিয়ে যদি সূর্যের জায়গায় একটা বড়সড় চেয়ার বসায়া দেই, তাহলে আমরা পৃথিবী থেকে যখন চেয়ারটা দেখবো ততোক্ষণে চেয়ারটা বসানোর পর আট মিনিট পার হয়ে গেছে। এবার যদি সূর্যের জায়গায় একটা বিরাট স্ক্রিন বসিয়ে দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর একটা সিনেমা চালিয়ে দিই, পৃথিবীবাসীর কাছে সেটা শুরু হবে আট মিনিট পরে।
এবার যদি সূর্যের জায়গায় ইয়া বড় একটা আয়না বসিয়ে দিই? যেখানে পৃথিবীটাই দেখা যাচ্ছে? সেই আয়নার দৃশ্যগুলো পৃথিবীর মানুষ দেখবে আট মিনিট পরে। এদিকে পৃথিবীতে যা কিছু ঘটছে সেটা ওই আয়না পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগবে আট মিনিট। আয়নায় বাড়ি খেয়ে সেটা আবার আমাদের কাছে পৌঁছাতে পৌঁছাতে আরও আট মিনিট। অর্থাৎ আয়নাটায় যা আমারা দেখবো সেটা পৃথিবীর ১৬ মিনিটের অতীত। এবার আয়নাটা পেছাতে থাকি। পেছাতে পেছাতে অর্ধেক আলোকবর্ষ দূরে নিয়ে যাই। মোটামুটি পাঁচ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার। এখান থেকে পৃথিবী দেখলে একবছর অতীতের পৃথিবী দেখতে পাবেন আপনি।
আয়না জিনিসটাই আসলে টাইম মেশিন। আপনার সামনের আয়নাটাও। সেই আয়নার বুকে যা দেখছেন সেটা আসলে আপনি ঘটানোর পরে আয়না পর্যন্ত গেছে এরপর আয়না থেকে আবার আপনার চোখে ফিরে আসছে। কিন্তু এই ব্যতয়ের সময় সেকেন্ডেরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগেরও এতো কম যে আপনার মাথা সেটা টের পায় না। যদি এমন স্পিডের ক্যামেরা আপনি বানাতে পারেন যে কি-না একটা সেকেন্ডকে তিনশ কোটি ফ্রেমে ভাঙতে পারবে, তাহলে আপনি অবাক হয়ে আবিষ্কার করতেন আপনি আয়না থেকে এক মিটার দূরে দাঁড়িয়ে এই মুহূর্তে যা করছেন আয়না সেটা আপনাকে দেখাচ্ছে না। বরং দুই ফ্রেম আগে যেটা করছিলেন সেটা দেখাচ্ছে। অর্থাৎ অতীত দেখাচ্ছে। লেখক ও সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
