প্রকাশিত: Wed, Jan 18, 2023 7:37 AM
আপডেট: Sun, May 11, 2025 2:35 AM

প্রখ্যাত নাট্যকার ও অভিনেতা মমতাজউদদীন আহমদের জন্মদিন, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ

আশিক নূরী : [১] মমতাজউদদীন আহমদ ছিলেন, একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি নাট্যকার, অভিনেতা ও ভাষাসৈনিক। তিনি স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ, যিনি এক অঙ্কের নাটক লেখায় বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ১৯৯৭ সালে একুশে পদক অর্জন করেন। [২] মমতাজউদদীন ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্তর্গত মালদহ জেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম কলিমুদ্দিন আহমদ ও মাতার নাম সখিনা বেগম। 

[৩] মমতাজউদদীন মালদহ আইহো জুনিয়র স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি পর্যস্ত লেখাপড়া করে। তিনি ১৯৫১ সালে ভোলাহাট রামেশ্বর পাইলট মডেল ইনস্টিটিউশন থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তী কালে রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় বি.এ (অনার্স) ও এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন। 

[৪] মমতাজউদদীন আহমদ ৩২ বছরের বেশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কলেজে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ইউরোপীয় নাট্যকলায় শিক্ষাদান করেছেন। তিনি ১৯৬৪ সালে চট্টগ্রাম কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং তিনি ১৯৭৬-৭৮ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।  [৫] মমতাজউদদীন আহমদের উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে- ‘নাট্যত্রয়ী’, ‘হৃদয় ঘটিত ব্যাপার স্যাপার’, ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’, ‘কি চাহ শঙ্খ চিল’, ‘প্রেম বিবাহ’, ‘জমিদার দর্পণ’, ‘রাজা অনুস্বরের পালা’ ও ‘বকুল পুরের স্বাধীনতা’ ইত্যিদি। তিনি শিল্প ও সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৬)’, ‘একুশে পদক (১৯৯৭)’ ও ‘নাট্যকলায় অবদানের জন্য ২০০৮ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা’। প্রখ্যাত এই নাট্যকার ও অভিনেতা ২ জুন ২০১৯ সালে ৮৪ বছর বয়সে মারা যান।