প্রকাশিত: Wed, Jan 18, 2023 4:03 PM
আপডেট: Sat, Jun 28, 2025 6:06 PM

পাঠ্যবই, রেফারেন্স এবং প্লেজারিজম

নাফিস তিহাম

[১] না আমি মনে করি না, বাংলাদেশের মতো একটা দেশে ক্লাস সেভেনের বইয়ে রেফারেন্স দেওয়ার কোনোই দরকার আছে। কারণ এই রেফারেন্সের সত্যিকার অর্থে কোনো উপযোগিতা নেই। পাঠ্যবই অরিজিনাল হইতে হবে এমন কোনো কথা নেই। যাবতীয় তথ্যাদি যদি রেফারেন্স দেওয়া হয় বইয়ের কলেবর শুধু শুধুই বাড়বে। একটা ৩০ পেইজের পেপারের রেফারেন্স নাইলেও ৬ পেইজ হয়। একটা ১৫০ পেইজের বাচ্চাদের বইকে উইকিপিডিয়া বানানোর কোন মানে হয় না। [২] আমি এইটাও মনে করি না কোথাও থেকে সরাসরি কপি করলে সমস্যা আছে যদি কপি করা তথ্যগুলা সঠিক এবং রেলেভেন্ট হয়।

যদি একটা বইয়ের পুরাটাই কপি করা থাকে এবং সেইখান থেকে বাচ্চারা যা শিখার শিখতে পারে তাইলেও সেইটা আমার হিসেবে কোনো সমস্যা না। বাচ্চাদের কাছে এইটা ম্যাটারই করে না যে কেউ থেকে লিখছে এইটা। পাঠ্যপুস্তক বেচে কেউ টাকা খাচ্ছে না। এই পাঠ্যপুস্তক কোথাও কপি করলে সেখানেও এইটার কপিরাইট থাকার কিছু নেই। এইটা বাচ্চাদের পড়ার একটা রেফারেন্স যেন তারা তাদের বয়সের হিসেবে কাজের কিছু জানতে পারে। এই পুরা বিষয়টায় আমার হিসেবে নৈতিক অনৈতিকের কিছুই নাই। [৩] যদি ধরেও নিই যে কপি করা অনৈতিক এইটা ঠিক হয় নাই। সেই ক্ষেত্রেও কাজটা একমাত্র যে করছে তার বাদে কারো পক্ষে ধরা সম্ভব ছিল না। কপি থাকতে পারে এই ভয়ে পুরাটা ট্রান্সলেট করে প্লেজিয়ারিজম চেকারে দিয়ে আদতে কোন লাভ হইত না। লম্বা লেখার রিভার্স ট্রান্সলেশন জীবনেও সেইম হইত না।

সম্পাদকদের দেখা দরকার ছিল লেখাটা ভাল কি না, লেখাটা চ্যাপ্টারের সাথে যায় কি না। কপি কি না/রেফারেন্স দিছে কি না এইটা ক্লাস সেভেনের বই লিখার সময় ধরে বসে থাকতে হবে আইডিয়াটা একটা আকাশ কুসুম এবং অমিতব্যয়ী আইডিয়া। এইটা আমি মুজাইর স্টুডেন্ট হিসেবে বলতেছি না। মুজাইর জায়গায় যে কেউ হইলেও একই কথা বলতাম। তবে সত্য হইল মুজাইর জায়গায় অন্য কেউ হইলে এই আলোচনাটাই উঠত না। ব্যস, যারা পড়ছেন, কমেন্টে গেঞ্জাইম্মা কথা লিখতে চাইলে বা হাইসা যাইতে চাইলে, ুড়ঁ ধৎব সড়ংঃ বিষপড়সব. ফেসবুক থেকে