বাকিন রাব্বি

মানুষ বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে জমির দামও। জমির সর্বোত্তম ব্যবহার এখন সময়ের দাবি। তাই বলে কি আকাশচুম্বি অট্টালিকা তৈরিই সমস্যার একমাত্র সমাধান? এ অপরিকল্পিত উন্নয়নের পরিণতি যে ভয়াবহ তা সবাই জানে, এরপরও কেউ উন্নয়নের এ গতি থামাতে পারছেন না। ২০ বছর আগেও যে শহরে একতলা, দোতলা ও টিনশেডের বাড়ি ছিল বেশি, সে শহরে হু হু করে বাড়ছে সুউচ্চ ভবন। 

এবার কুমিল্লায় দেখে এলাম মানুষ পাল্লা দিয়ে উপরের দিকে উঠছে। যে দশ তলা উঠার অনুমতি পাচ্ছে সে চাচ্ছে আরো দুই তলা উঠতে। অর্থনীতিতে এর একটা ভালো প্রভাব পরছে তা ঠিক, কিন্তু কুমিল্লাবাসীর ভবিষ্যৎ কী? ব্যাংক ও ট্যাংকের শহরে এখন কয়টা পুকুর রয়েছে? তার হিসাব কী আমরা রাখি? পরিবেশ? সেটা তো কাগজে কলমের ব্যাপার। বিল্ডিং কোড কয়জন মানে? ফায়ার সার্ভিসের যথাযথ ছাড়পত্র নেয় কয়জন? এতে জনঘনত্ব বাড়ছে। পানি ও গ্যাসের মতো নাগরিক পরিষেবার সংকটও প্রকট হচ্ছে। 

পুরাতন চৌধুরী পাড়ার এক বাসিন্দা বলেন গ্যাস বিল বই উঠাতে মোগলটুলি, রাজগঞ্জ, চকবাজার হয়ে সাড়ে তিন কিলো মিটার দূরে বাখরাবাদ অফিসে রিক্সায় যেতে তাঁর সময় লেগেছে ৪৫ মিনিট। বিল বই উঠিয়ে আবার বাড়ি ফিরতে এক ঘণ্টা। তিনি বলেন, এই পথে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে এবং এগুলোতে লোকজনের বসবাস শুরু হলে, তখন হয়তো একই পথ যেতে আমাদের সময় লাগবে তিন ঘণ্টা। তাই নয় কি? ফেসবুক থেকে