আরিফ জেবতিক

বাংলা একাডেমি স্বীকার করেছে যে, বই প্রকাশের অপরাধে তাঁরা আদর্শ প্রকাশনীকে এবার একুশে বইমেলায় স্টল দেবে না। ব্যাপারটা ক্ষুব্ধ হওয়ার মতোই বিষয়। যে ‘একুশে’র চেতনা হচ্ছে মানুষের কথাবলার অধিকার, সেই একুশে বইমেলায় ৩ জন লেখকের ৩টি বই প্রকাশের জন্য একটি প্রকাশনীকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। 

যেসব লেখকের বই প্রকাশের ‘অপরাধে’ এই শাস্তি; তাঁদের দুইজনÑ ফাহাম এবং জিয়ার লেখালেখির সাথে আমি দীর্ঘদিন অনলাইনে পরিচিত। এই দুজনই অ্যাক্টিভিস্ট, তাঁদের নিজস্ব রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা তাঁরা নিরন্তর করে যাচ্ছেন। আলোচ্য বই দুটি যদিও আমি পড়িনি, তবে এই দুজনের লেখালেখির ট্রেন্ড থেকে আমি বলতে পারি, এরা কীভাবে বোমা বানায় ধরনের কোনো বিধ্বংসী বই লিখেননি। যদি তাঁদের লেখালেখি রাষ্ট্র ও মানবতার জন্য হুমকি স্বরূপ হয়, তাহলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তোলা যেতে পারে। যদি তাঁদের লেখালেখি শুধু ভিন্নমত প্রকাশের কারণে হয়ে থাকে, তাহলে তাঁদের সেই মত ও পথের অসারতা প্রমাণ করতে আরো বড় বড়, আরো গাব্দাগোব্দা বই লিখে জবাব দেওয়া যেতে পারে।

কিন্তু জাস্ট তাঁরা আমার পছন্দসই বই লিখেননি বলে তাঁদের কিংবা তাঁদের প্রকাশনীকে শাস্তি দেওয়া যেতে পারে না। যে বইয়ের ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে অভিযোগ করা হয়নি, যে বই ব্যান হয়নি সেই বই প্রকাশের কারণে শাস্তি দেওয়াটা তুঘলকি একটি ব্যাপার। অবিলম্বে আদর্শ প্রকাশনীর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হোক। লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট