প্রকাশিত: Sun, Jan 29, 2023 3:58 PM
আপডেট: Sat, May 10, 2025 3:40 AM

হলিউড অভিনেত্রী পামেলা, তার সাবেক স্বামী জন পিটার্স এবং বঙ্গ-পুরুষের মন

সৈয়দা সাজিয়া আফরিন: হলিউড অভিনেত্রী পামেলার জন্য কিছু টাকা উইল করেছেন তার সাবেক স্বামী জন পিটার্স। স্ত্রীর বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক নিয়ে, ঘরে খাটিয়ে খাওয়া পরার টাকা উসুল করা বঙ্গ পুরুষ। জন পিটার্স হোক বা করতে পারে এমন পুরুষ এদের খুব কষ্ট হয় ক্ষোভ হয় হিংসে হয়। ওরা জ্বলে। মনে মনে হয়তো ভয়েও থাকে। বঙ্গ-পুরুষের মনে অনেক ভয়। অক্ষমতার ভয়। স্ত্রীর তুলনায় দেখতে বাজে হওয়ার ভয়। সব থেকে বড় ভয়, বউ পালিয়ে যাওয়ার। শুনতে মিন শোনালেও অনেক পুরুষের কাগজে-কলমে ডিভোর্স হয় না, কিন্তু বউ ভেগে যায়। একজনের বউ ভেগে গেলে অন্যজন টেনশনে পড়ে যায়। যাই হোক আসি পুরুষের জেলাসির কথায়। 

এক লোক ভালো আয় করা ব্যবসায়ী হয়েও শ্বশুরের টাকার হিসেব চাইত শাশুড়ির কাছে। সে চাইত শ্বশুর বিদেশ থেকে যা পাঠাবে সেই তা নেবে এবং ডিস্ট্রিবিউট করবে। কয়েক সালিশে ঘটনা গড়ালো ডিভোর্সে। ডিভোর্সের দুই মাসের মাথায় একটি কাজের মেয়ে টাইপ বিয়েও করে ফেললো। এবং বড় অহংকারের সাথে স্ত্রীকে তাঁর একমাত্র বাচ্চাকে দেখতে না দেওয়ার মতো স্পর্ধাও করলো। আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় খুবই সাধারণ ডিগ্রিধারী গৃহিনী মেয়েটি চাকরি জয়েন করলো। নিজেকে মেন্টেন করলো দুই বছর পর একেবারে সিরিয়ালের নায়কের মতো ছেলেকে বিয়ে করলো। পরপর দুটো বাচ্চাও হলো। প্রাক্তন স্বামী তাকে স্টক করে। প্রাক্তনের বাড়ির অনুষ্ঠানগুলোতে দাওয়াত না দিলেও আসে। এসে বোঝায় সে কতোটা বিলং করতে চায় প্রাক্তন হয়ে যাওয়া শ্বশুর বাড়িকে। এদিকে বাসায় থাকা দ্বিতীয় স্ত্রী না জানি কতটা অবহেলায় পড়ে আছে। এরকম আরও উদাহরণ আছে। পরে লিখবো। যদিও পামেলা পিটার্সের ক্ষেত্রে এটা হয়তো ভালো বন্ধুত্ব বহাল থাকার পরিণতি। 

পিটার্স প্রাক্তন স্ত্রীকে পরিবার ভাবেন। পামেলাকে দেওয়া টাকা বিয়ের বিনিময় না। বিয়ের বিনিময় হলে বিয়ের সঙ্গে সঙ্গে অথবা বিচ্ছেদের সঙ্গে সঙ্গে পরিশোধযোগ্য হতো। পিটার্স পামেলার জন্য কিছু অর্থ উইল করছে। উইল মানে মৃত্যু পরবর্তী ওয়ারিশ হিসেবে কাকে কী দিতে চায় তার ইচ্ছেপত্র। যাকে বাংলার মহান পুরুষেরা বলছে, নারীর ব্যবসা, নারীর চামড়া ব্যবসা। ব্রো আপনারা যারা বউকে ২৪ ঘণ্টা খাটায়ে কোনোমতে ভাতে-কাপড়ে কাজের লোকের মতো রাখেন। আবার তাঁর শ্রম খেয়ে ঋষ্টপুষ্ট হয়ে তাকে নিয়েই বিদ্বেষ ছড়ান আপনারা  স্ত্রীর সময়, শ্রম, বিশ্বস্ততাকে সম্মান করার সামর্থ্য রাখেন না তাদের জ্বলবে। কাদের জ্বলে প্রায় মেয়েরাই জানে। ঘরের দিকে খেয়াল করেন বাইরে অনেক পিটার্স আছে কোনোদিন না আবার বউ ভেগে যায়। আমি চাই না আপনাদের বউ ভেগে যাক। আন্তরিকভাবে চাই না। কারণ এতে আপনারা আরও প্রবল নারী-বিদ্বেষী হয়ে পড়তে পারেন। ফেসবুক থেকে